Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ আমেরিকা, ভারতে এসে জানালেন গোয়েন্দাপ্রধান

আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের।

আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড।

আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৫
Share
Save

বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন’ নিয়ে উদ্বেগে আমেরিকা। বিশেষত, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নিয়ে। ভারতে এসে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ নিয়েও যথেষ্ট অস্বস্তি রয়েছে আমেরিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাবধারাকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তুলসী। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়ে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সে সময় তাঁর উপরই বিষয়টি ছেড়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের গলায় শোনা গেল সেই উদ্বেগ।

সোমবার ভারতীয়য় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন তুলসী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ক্যাথলিক-সহ অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দুর্ভাগ্যজনক নির্যাতন, হত্যা, হেনস্থা আমেরিকা সরকার, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের।

আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধানের পদে বসার পরে দ্বিতীয় বার বিভিন্ন দেশের সফরে বেরিয়েছেন তুলসী। রবিবার ভারতে এসেছেন তিনি। সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উদদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও বৈঠক করেন গ্যাবার্ড। এর পরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাবধারা এবং লক্ষ্য একই— ইসলামিক খলিফার নীতি এবং শাসন চালু করা।’’

গত বছর অগস্টে গণআন্দোলনের পরে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলেছে। গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি জানায়, হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ২,২০০টি ঘটনা হয়েছে। বাংলাদেশ যদিও সেই অভিযোগ মানেনি। ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন গত বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন। ঢাকার সংস্কারের পদক্ষেপকে ‘সমর্থন’ করার কথাও জানান। যদিও ট্রাম্প সে দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে সরব হন। গত নভেম্বরে সমাঝমাধ্যমে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েও এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয় ট্রাম্পের। ট্রাম্প জানান, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি মোদীর উপরেই ছাড়ছেন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেকে দাবি করছিলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গোপনে কলকাঠি নাড়ছে আমেরিকা। মোদীর সঙ্গে আলোচনার শুরুতেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আমেরিকার কোনও হাত নেই। এ বার আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী জানালেন যে, তাঁরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগে।

Bangladesh Unrest US Donald Trump Tulsi Gabbard

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}