Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Tuberculosis

যক্ষ্মায় মৃত্যু গত দু’বছরে বেড়েছে ১৪%, প্রথম চারের মধ্যে রয়েছে ভারতও, জানাল হু

২০১৯ সালে যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন ১৪ লক্ষ মানুষ। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয় ১৫ লক্ষ। পরের বছর সেই সংখ্যাটা বেড়েছে আরও এক লাখ।

২০২১ সালে যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন ১৬ লক্ষ জন।

২০২১ সালে যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন ১৬ লক্ষ জন। —ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
জেনেভা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২১
Share: Save:

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছিল। কিন্তু অতিমারি কালে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে এই মারণ রোগ। ২০২১ সালে যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন ১৬ লক্ষ জন। বৃহস্পতিবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। তারা আরও জানিয়েছে, গত দু’বছরে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

২০১৯ সালে যক্ষ্মায় মারা গিয়েছেন ১৪ লক্ষ মানুষ। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয় ১৫ লক্ষ। পরের বছর সেই সংখ্যাটা বেড়েছে আরও এক লাখ। হু মনে করছে, ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি শুরুর কারণে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিল যক্ষ্মা। প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন যক্ষ্মা রোগীরা। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। রিপোর্ট বলছে, গোটা দুনিয়ায় যক্ষ্মায় সবথেকে বেশি মৃত্যু হয় চারটি দেশে— ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপিন্সে।

সারা বিশ্বের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০১৯ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছিল। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, আগামী দিনে কোভিডের পরিবর্তে পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে যক্ষ্মা। আশঙ্কা যে ভিত্তিহীন নয়, তা রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যায়। ২০২১ সালে সারা দুনিয়ায় যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ছ’ লক্ষ জন। ২০২০ সালের থেকে ৪.৫ শতাংশ বেশি।

২০২০ থেকে ২০২১ সালে প্রতি এক লক্ষ জনে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। ৩.৬ শতাংশ বেড়েছে সেই সংখ্যা। আগের দু’দশকে প্রতি বছর এক লক্ষ জনে যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা আগের বছরের থেকে বাড়েনি। কয়েক বছর বেড়েছিল এবং তা আগের বছরের থেকে দুই শতাংশের বেশি নয়। গোটা দুনিয়ায় যত জন আক্রান্ত হন, তার দুই-তৃতীয়াংশই আটটি দেশের বাসিন্দা। সেই আটটি দেশ হল ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চিন, ফিলিপিন্স, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো।

ব্যাকটিরিয়াজাত রোগ যক্ষ্মায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আক্রান্তদের ফুসফুস। আক্রান্তদের কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় ব্যাকটিরিয়া। ক্রমে তা অন্যকে আক্রান্ত করে। এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। হু-র বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ, দুনিয়া জুড়ে শক্তি এবং খাবারের অভাবের কারণে ভবিষ্যতেযক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। হু প্রধান টেডরোস আধানোম ঘেব্রিয়িসাস জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারি থেকে আমরা যে শিক্ষা পেয়েছি, এ বার তা কাজে লাগিয়েই যক্ষ্মার মোকাবিলা করতে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Tuberculosis WHO Covid
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE