ভিসা নীতিতে বদলের ঘোষণা আমেরিকার।
ভোটের মুখে পুরনো অবস্থানেই ফিরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাস খানেক আগে, মঙ্গলবার ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দিল, ভিনদেশের প্রশিক্ষিত কর্মীদের আমেরিকায় বসবাসের জন্য এইচ ১বি ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন আরও কড়া হচ্ছে। নয়া বিধির ফলে অনেক ভারতীয় আবেদনকারী সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আগামী ৩ নভেম্বর।
‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ অর্থাৎ ‘আমেরিকার পণ্য কেনো, আমেরিকানদের চাকরিতে নাও।’ ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই এই দাবিতে গলা ফাটিয়েছিলেন ট্রাম্প। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ অর্থাৎ ‘প্রথম পছন্দ আমেরিকা’— ২০১৭ সালে এই নীতিতে ভর করেই আমেরিকার ভিসা নীতির ক্ষেত্রে প্রথম বদল আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কাকতালীয় ভাবে ৩ বছর আগে ১৮ এপ্রিলের সেই দিনটিও ছিল মঙ্গলবার। এ বার ভোটের মুখে সেই মঙ্গলেই ফের ‘ব্যাক টু দ্য বেসিক’ ট্রাম্পের।
আমেরিকার শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া বিধিতে এইচ ১বি ভিসার আবেদনের তিন ভাগের এক ভাগ বাতিল করা হবে। আমেরিকায় সাধারণত যে সব ক্ষেত্রে ভিনদেশের কর্মীদের নিয়োগ করা হয় সেই জায়গাগুলিও কাটছাঁট করা হবে। এমনকি বিদেশি কর্মীকে কত টাকা বেতন দেওয়া হবে সে ব্যাপারেও কড়া নজর থাকবে। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাখ্যা, করোনার জেরে লক্ষ লক্ষ আমেরিকান কাজের খোঁজ করছেন। তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্যই এই পদক্ষেপ। চলতি সপ্তাহেই ওই নয়া বিধি কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্নায়ুবিদ্যায় মনোনিবেশ দেখে অভিভূত হয়েছিলাম
এর আগে একটি নির্দেশ জারি করে চলতি বছরের জন্য এইচ ১বি ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু নয়া নিয়মের জেরে আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বিদেশি কর্মীরা প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সেখানে বিদেশি কর্মী এবং আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ডেটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কাজের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৮৩ হাজার এইচ ১বি ভিসা দিয়ে থাকে আমেরিকা। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। ভারত এবং চিনের মোট ৫ লক্ষ কর্মী ওই ভিসার জোরেই কাজ করছেন আমেরিকায়। ট্রাম্পের প্রশাসনের মতে, একটা ‘ভাল কারণ’-এর জন্যই এই পদক্ষেপ। তবে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কারণ আমেরিকার রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের মতে, ভোটের মুখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ভিসার বিধি বদল করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড নিয়ে ভুল তথ্য, ট্রাম্পের পোস্ট সরাল ফেসবুক-টুইটার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy