দুর্ঘটনাস্থলে পড়ে বিমানের ভগ্নাবশেষ। ফাইল চিত্র।
নেহাতই দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা? ইউক্রেনিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি গত কাল ভেঙে পড়ার পরেই এই প্রশ্ন উঠেছিল। আজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে ইরান ‘ভুলবশত’ ইউক্রেনের বিমানটি ধ্বংস করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও ‘সন্দেহ রয়েছে’।
নাশকতা হয়েছে কি না, সেই চর্চা উস্কে দিয়েছিল ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য ও বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত ভিডিয়োর ফারাক। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ভেঙে পড়ার পরে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কিন্তু যে-ভিডিয়োটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যায়, আকাশেই বিমানটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। আজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘ইরানের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। সম্ভবত কেউ ভুল করে বিমানে হামলা চালিয়েছে।’’ একটি মার্কিন চ্যানেলের দাবি, ইরান ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানটিকে ধ্বংস করেছে বলে মত ট্রাম্প প্রশাসনের আধিকারিকদের। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই টিভি চ্যানেল বলেছে, উপগ্রহ চিত্রে দু’টি লাল বিন্দু দেখা গিয়েছিল। যেগুলি আসলে ক্ষেপণাস্ত্র। তার একটির বিস্ফোরণ ঘটে। ফলে ইরানের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অনেকেই মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের যুক্তি, যে বিমানে ইরানের ৮২ জন নাগরিক ছিলেন এবং এক জনও মার্কিন নাগরিক ছিলেন না, সেই বিমানে কেন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাবে তেহরান।
ভেঙে পড়া বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলেও সেটি ক্ষতিগ্রস্ত বলে ইরানের সরকারি সূত্র জানাচ্ছে। তা থেকে আদৌ কতটা তথ্য মিলবে সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। যদিও ইরানের বিমান মন্ত্রক আজ দাবি করেছে, ভেঙে পড়ার আগে বিমানে আগুন ধরে যায়। শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরে ফেরার চেষ্টাও করেছিলেন বিমানচালক। ইরানের বিমান মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিমানের কোনও কর্মী রেডিয়ো বার্তায় বিপদের বার্তা কাল দেননি।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা মন্ত্রকের মুখপাত্র ফের সন্ত্রাসবাদী হামলার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর দাবি, রাশিয়ায় তৈরি টর জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ওই বিমানটিকে কাল ধ্বংস করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো মিলেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy