দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে করোনার প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক ইকুয়েডরে। —ছবি এপি।
কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ইকুয়েডরে আমাজন অরণ্যবাসী এক আদিম জনজাতি নেতার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন জনজাতির বাকি সদস্যরা। সেই দেহ ফেরত পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে বৃহস্পতিবার পেরুর সীমান্তে একটি গ্রাম থেকে দুই পুলিশ অফিসার, দুই সেনা ও দুই সাধারণ নাগরিককে অপহরণ করেন জনজাতির সদস্যরা। শর্ত ছিল, নেতার দেহ ফেরত দিলে মুক্তি দেওয়া হবে ওই ছয় বন্দিকে। সেই শর্ত মেনে ওই নেতার দেহ তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ায় মুক্তি পান ছ’জন।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব ইকুয়েডরে আমাজনের যে অংশ, সেখানকার এক জনজাতি অপহরণ করেছিলেন ওই ছ’জনকে। মুক্তির পরে তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় শ’ছয়েক সদস্য মিলে আটকে রেখেছিলেন বন্দিদের। পুলিশ কমান্ডার জেনারেল প্যাট্রিসিয়ো ক্যারিলোর মধ্যস্থতায় রফা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে করোনার প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক ইকুয়েডরে। সেখানে আক্রান্ত ৬১ হাজারেরও বেশি, মৃত পাঁচ হাজারের কাছাকাছি।
এ দিকে, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির ও রাইটোনাভির পরীক্ষামূলক যৌথ প্রয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। শনিবার এক বিবৃতিতে হু বলেছে, ‘‘অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভির ও রাইটোনাভির যৌথ প্রয়োগ হাসপাতালে ভর্তি কোভিড রোগীদের মৃত্যুর হার কমাতে কার্যকরী নয়। যে কারণে, বিশেষজ্ঞেরা অবিলম্বে এই পরীক্ষা বন্ধ করবেন। করোনা নিরাময়ে সারা বিশ্বজুড়ে ১৮টি প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
হু জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে নতুন করে করোনা-সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতির জন্য এখনও চিনকেই দুষে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘‘চিনের তথ্য লুকানো ও প্রতারণার জন্যই সারা পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এর দায় অবশ্যই চিনের।’’
গত এক মাস ধরে দৈনিক সংক্রমণের হার কমলেও রাশিয়ায় কোভিডে মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। যদিও রুশ সরকার জানিয়েছে, যে যে ক্ষেত্রে মৃত্যুর একমাত্র কারণ করোনা-সংক্রমণ সরকারি ওয়েবসাইটে সেই ঘটনাগুলিই শুধুমাত্র নথিভুক্ত করা হচ্ছে। গত মাসে কার্ফু তুলতেই সৌদি আরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। একই কারণে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার। এ দিকে, সপ্তাহের শেষে ইংল্যান্ডের পাব ও বার খুলতেই ভিড় উপচে পড়েছে সেগুলিতে। তাতে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন হওয়ায় বেশ কিছু দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দিতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy