Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
US

আফগানিস্তানে শান্তি ফিরুক, চায় দিল্লিও 

আফগানিস্তান থেকে দফায় দফায় সমস্ত সেনা সরানোর আগে সে দেশের সরকারের সঙ্গে তালিবান জঙ্গিদের একটি শান্তিচুক্তি করাতে ট্রাম্প প্রশাসন এই বৈঠকটি ডেকেছে।

শান্তি-বৈঠক: আলোচনায় মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পোয়ো (বাঁ দিকে) ও তালিবানের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বরাদর (ডান দিকে)। শনিবার দোহায়। এফপি

শান্তি-বৈঠক: আলোচনায় মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পোয়ো (বাঁ দিকে) ও তালিবানের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বরাদর (ডান দিকে)। শনিবার দোহায়। এফপি

সংবাদ সংস্থা
দোহা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২৬
Share: Save:

আফগানিস্তানে একটি হানাহানি-মুক্ত স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে ওঠার উপরে জোর দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধির বক্তৃতায় কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয়েছে আফগান শান্তি বৈঠক। আফগানিস্তান থেকে দফায় দফায় সমস্ত সেনা সরানোর আগে সে দেশের সরকারের সঙ্গে তালিবান জঙ্গিদের একটি শান্তিচুক্তি করাতে ট্রাম্প প্রশাসন এই বৈঠকটি ডেকেছে।

জয়শঙ্কর দিল্লি থেকে ভিডিয়ো মাধ্যমে বক্তৃতাটি দেন বৈঠকে। বলেন, হিংসা মুছে ফেলার পাশাপাশি আফগানিস্তানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র কায়েম এবং সংখ্যালঘু ও মহিলাদের সুরক্ষা প্রতিষ্ঠা হবে— এমন শান্তিচুক্তির পক্ষে ভারত। শুধু প্রতিবেশী দেশ বলে নয়, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে যে নিবিড়— সে কথা উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রী জানান, সে দেশ জুড়ে ৪০০-রও বেশি উন্নয়নমূলক প্রকল্পে নিয়োজিত ভারত। এই সব প্রকল্প শেষ করার জন্যও অনুকূল পরিস্থিতি প্রয়োজন। জয়শঙ্কর জানান, ভারত চায় ‘আফগানিস্তানের জন্য শান্তি প্রক্রিয়া যেন আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রিতই’ হয়। কূটনীতিকরা বলছেন, এ কথা বলে দিল্লি আসলে সে দেশে পাকিস্তানের মৌরসিপাট্টার পথ বন্ধ করার নিশ্চয়তা চাইছে।

কারণ, তালিবান জঙ্গিরা আদতে পাকিস্তানের সৃষ্টি। আফগান সীমান্তবর্তী নিজেদের ভূখণ্ডে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে সংগঠিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। শান্তিচুক্তিতে ক্ষমতাবান হওয়ার পরে আফগানিস্তানের সম্ভাব্য তালিবান অধ্যুষিত এলাকাগুলি পাকিস্তানি ও কাশ্মীরি জঙ্গিদের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে, এমন দৃঢ় আশঙ্কা ভারতের রয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের কাছেও উদ্বেগ জানিয়ে রেখেছে দিল্লি।

মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এবং তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগকারী প্রাক্তন জঙ্গি নেতা জালমে খলিলজাদ অবশ্য দোহায় জানিয়েছেন, শান্তি বৈঠকের অন্যতম প্রধান যে শর্ত তালিবানকে দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা আছে আল

কায়দা ও অন্য জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। তবে কূটনীতিকদের অনেকের কথায়, দুর্ধর্ষ খুনে বাহিনী তালিবান রাতারাতি অস্ত্রশস্ত্র তুলে রেখে সভ্য হয়ে যাবে, এমন আশা করাটা বাতুলতা। আফগানিস্তানের শিশু ও মহিলাদের অধিকার রক্ষার দাবিতে সরব কয়েকটি সংগঠনকেও বৈঠকে আনা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy