ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
আমেরিকার সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইরান। অন্তত তেমনই দাবি করছে সে দেশের প্রশাসন। ফারহাদ শাকেরি নামে এক ইরানি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় স্বীকার করেছেন যে, গত ৭ অক্টোবর ট্রাম্পের উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। আর এই অভিযোগ উঠেছে ইরানের রিভোলিউশনারি গার্ড (আইআরজিসি)-এর বিরুদ্ধে।
প্রশাসনের তরফে এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শাকেরিকে জেরা করে জানা গিয়েছে যে, ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলা করার জন্য তাঁকে সময় বেঁধে দিয়েছিল আইআরজিসি। কিন্তু আইআরজিসির বেঁধে দেওয়া সেই সময়ে ট্রাম্পের উপর হামলা চালাতে রাজি ছিলেন না শাকেরি। হামলার দিন হিসাবে আইআরজিসি ৭ অক্টোবরকে বেছেছিল বলেও ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গারল্যান্ড শাকেরিকে ‘বড় সম্পদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর যুক্তি, শাকেরিকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য বার করা যাবে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের অধিকর্তা ক্রিস্টোফার রে-র দাবি, আমেরিকার নাগরিকদের উপর বার বার হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইরান। শুধু সাধারণ নাগরিকই নয়, ট্রাম্পের মতো নেতা এবং সরকারি কর্মীদেরও নিশানা বানানো হচ্ছে। আমেরিকার মাটিতে বন্দুকবাজদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমেরিকানদের উপর আইআরজিসির হামলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এফবিআই প্রধান।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চালানোর সময় পেনসিলভেনিয়ায় এক জনসভায় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় সেই গুলি। রক্তাক্ত হন ট্রাম্প। হামলাকারীকেও গুলি করে মারেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আবার অগস্টে ফ্লরিডায় ট্রাম্পের উপর হামলার চেষ্টা হয় দ্বিতীয় বার। যদিও সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন তিনি। সদ্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ট্রাম্প। নির্বাচনে জিতে তাঁর উপর হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘ঈশ্বর একটি কারণেই আমাকে বাঁচিয়েছেন। আর সেই কারণ হল দেশকে বাঁচানো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy