জন গুডএনাফ। —ফাইল চিত্র।
সব চেয়ে প্রবীণ বয়সে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে আরও দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন আমেরিকান বিজ্ঞানী জন গুডএনাফ। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরির অন্যতম পথিকৃৎ সেই বিজ্ঞানী গুডএনাফের মৃত্যু হয়েছে গত কাল। বয়স হয়েছিল ১০০। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে। নব্বইয়ের কোঠায় বয়স পৌঁছনোর পরেও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে গিয়েছেন তিনি। অস্টিনের এক বৃদ্ধাশ্রমে প্রয়াত হন গুডএনাফ।
রিচার্জবল ব্যাটারি অর্থাৎ বৈদ্যুতিক গাড়ি থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মতো তার-বিহীন বৈদ্যুতিন যন্ত্র চার্জ করার জন্য যে ধরনের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির প্রয়োজন হয়, সেটির যুগান্তকারী আবিষ্কারের অন্যতম মুখ ছিলেন গুডএনাফ। জাপানের বিজ্ঞানী আকিরা ইয়োশিনো এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্ট্যানলি উইটিংহ্যামের সঙ্গে গবেষণা করে এই ব্যাটারি আবিষ্কার করেন গুডএনাফ, যা পরবর্তী কালে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির চেহারাই পাল্টে দিয়েছিল। শুধু উন্নত দেশগুলিই নয়, অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের কোটি কোটি মানুষও এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কার করা ব্যাটারি থেকে এখন উপকৃত হন। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস এই তিন বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করার সময়ে বলেছিল, ‘এঁরা আদতে এক রিচার্জযোগ্য বিশ্ব বানিয়েছেন’।
রসিকতা আর ছোঁয়াচে হাসির জন্য পরিচিত ছিলেন গুডএনাফ। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর পেয়ে গুডএনাফ বলেছিলেন, ‘‘৯৭ বছর পর্যন্ত বাঁচুন। তা হলে আপনি জীবনে সব কিছু করতে পারবেন।’’ শুধু নোবেলই নয়, দেশ-বিদেশের নানা সম্মান আর পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বলেছিলেন, ‘‘গোটা বিশ্বে যোগাযোগ স্থাপনে আমার আবিষ্কার কাজে লাগছে দেখে আমি অভিভূত। আমাদের সম্পর্ক তৈরি করা উচিত। যুদ্ধ নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy