(বাঁ দিকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলিঙ্গন করার কূটনীতিতে মুখ গোমড়া আমেরিকা এবং চিনের। প্রসঙ্গত, এই শরীরী ভাষাই মোদীর গত দশ বছরের কূটনীতির অঙ্গ।
মস্কোয় গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলিঙ্গন করলেও মোদী তাঁর সামনেই ইউক্রেনে আগ্রাসন এবং শিশুহত্যার স্পষ্ট নিন্দা করেছেন। কিন্তু তাতে তুষ্ট নয় আমেরিকা। বিষয়টি যে চিন্তায় রেখেছে ওয়াশিংটনকে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু'বার মুখ খুলে তা প্রমাণ করেছেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। এ-ও বলেছেন, ভারতের সঙ্গে গত চব্বিশ ঘণ্টায় যোগাযোগ করেছে আমেরিকা। তবে কী কথাবার্তা হয়েছে, তা গোপনই রেখেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি গতকালই বলেছিলেন, বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী এক জন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তিপ্রক্রিয়ায় পক্ষে এটা বিরাট ধাক্কা। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মিলার বলেছেন, “আমরা ভারতকে বলে যাচ্ছি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সমর্থন প্রয়োজন।” পাশাপাশি পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত আমাদের কৌশলগত মিত্র। রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের চরিত্র-সহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা তাদের সঙ্গে চালিয়ে যাব।’’ ভারতের বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রার বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গোড়া থেকেই পুতিন ও জ়েলেনস্কিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে সমাধান হবে না। খুব কম দেশই পুতিনকে সরাসরি এই বার্তা দিচ্ছে। তবে আলোচনার টেবলে বসতে হবে সংশ্লিষ্ট দু’পক্ষকেই।’’
বেজিংও কড়া নজর রাখছে মোদীর জন্য পুতিনের লাল কার্পেট বিছিয়ে দেওয়ার দিকে। আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিনের প্রধান ভরসা রাশিয়া। ফলে মোদীর রাশিয়ায় যাওয়া এবং পুতিনকে আলিঙ্গন করার বিষয়টি বেজিং-ও কিছুটা আশঙ্কার চোখে দেখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য। সরকারি ভাবে এখনও মুখ না খুললেও, সেখানকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞাকে এড়িয়ে নিজেদের বাণিজ্য চাঙ্গা রাখার জন্য ভারতও প্রয়োজনীয় পুতিনের কাছে। তার সুযোগ নিচ্ছে দিল্লি।
মোদীর সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছে রাশিয়া। ভারতে নিযুক্ত শীর্ষ রুশ কূটনীতিক রোমান বাবুশকিন বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, গোটা বিশ্ব এই সফরের দিকে তাকিয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে আমেরিকা হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy