ইমরান খান।—ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের উপরে ফের চাপ বাড়াল ট্রাম্প প্রশাসন। ইমরানের দেশের মাটিতে যে সমস্ত জঙ্গি সংগঠন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, সেই সংগঠনগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য ইসলামাবাদকে আবেদন জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি জামাত উদ দাওয়ার প্রধান হাফিজ় সইদের শাস্তি ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে শীর্ষ মার্কিন আধিকারিক অ্যালিস ওয়েলস জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বটে কিন্তু তা ভবিষ্যতে পাল্টাবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। অতলান্তিক কাউন্সিল আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত শীর্ষ আধিকারিক ওয়েলস ভারত-পাকিস্তানকে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মেটাতে বাস্তবিক পদক্ষেপ করার বার্তাও দিয়েছেন। ওই বৈঠকে ওয়েলস জানান, হাফিজ় সইদের শাস্তি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো বিষয় সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হলফ করে বলা যায় না, পাকিস্তান এই অবস্থানেই অবিচল থাকবে।
ভারতে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড বর্মার সঙ্গে কথোপকথনে ওয়েলস বলেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান দু’দেশকেই বাস্তবিক পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমে।’’ এ প্রসঙ্গেই, ২০০৩ সালে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন ওয়েলস।
পাশাপাশি তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করতে বলছে আমেরিকা। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি। এই হামলার পরেই বিশ্ব জুড়ে পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি হয়, যার নিরিখে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ওয়েলস জানান, এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান-আমেরিকা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও।
বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কৌশল অনুযায়ী সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে কার্যকরী ভূমিকা নিতেই হবে। যাতে আফগানিস্তান ও অন্য আঞ্চলিক ক্ষেত্রে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy