বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগি। —ফাইল চিত্র।
শেখ হাসিনার সরকার ফেলে দেওয়ার লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, তার বিভিন্ন শাখা সংগঠন এবং সমমনস্ক দলগুলি। মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রার পরে শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ ডেকেছিল বিএনপির তিন শাখা সংগঠন। তবে এত বেশি নেতা সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে দাপাদাপি শুরু করেন, অনুষ্ঠানের সুচনা সঙ্গীত গাওয়ার সময়েই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে সেটি। জনা সাতেক আহত হয়েছেন। কিন্তু কর্মীরাই প্রশ্ন তুলেছেন— এত নেতাকে কেন মঞ্চে উঠতে হবে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফার দাবিতে এ দিন ঢাকায় সমাবেশ ডাকে বিএনপি-র তিন শাখা সংগঠন ছাত্র দল, যুব দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল। ঢাকার বাইরে থেকেও গাড়িতে করে বহু কর্মী-সমর্থককে আনা হয়েছিল। উদ্যানের এক দিকে পাকা মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। ঠিক ছিল বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দেবেন। থাকবেন বিএনপি-র অন্য নেতারাও। কিন্তু তিন শাখা সংগঠনের এত বেশি নেতা মঞ্চে উঠে পড়েন, সেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। উদ্বোধন সংগীত গাইতে জনা পাঁচেক শিল্পী হার্মোনিয়াম-তবলা নিয়ে ওঠার পরে মঞ্চ আর ভার সইতে পারেনি। গান শুরু হওয়া মাত্রই সেটি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। ৭ জনকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মধ্যে একটি টিভি চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিক এবং যুব দলের এক কর্মীর পা ভেঙেছে। বিশৃঙ্খলার মধ্যেই বিএনপি-র মহাসচিব ও অন্য নেতারা এসে পৌঁছন। একটি ছোট ট্রাককে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে কোনওক্রমে নেতারা বক্তৃতা দেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই সাংবাদিক ও যুব দল কর্মীর পায়ে প্লাস্টার করে এবং বাকিদের চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy