ফাইল ছবি
চার দফায় লকডাউন তুলে ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আজ সন্ধ্যায় হাউস অব কমন্সে এই সিদ্ধান্ত জানানোর আগে সকালে মন্ত্রীদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেন বরিস। প্রথম ধাপে দু’ভাগে লকডাউন তোলা হবে বলে পরিকল্পনা করেছে সরকার। ৮ মার্চ থেকে খুলে দেওয়া হবে সব স্কুল। পাশাপাশি দু’জন ব্যক্তি একসঙ্গে পার্কে বা কফি খেতে বা পিকনিক করতে যেতে পারবেন। দ্বিতীয় ভাগে অর্থাৎ, ২৯ মার্চ থেকে বাড়ির বাইরে দেখা করতে পারবেন ছ’জন বা দু’টি আলাদা বাড়ির বাসিন্দারা। বাইরে বেরিয়ে টেনিস ও বাসকেট বল খেলার অনুমতি দেওয়া হবে বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও। ৮ মার্চ থেকে ইংল্যান্ডের কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রতিদিন এক জন করে আত্মীয় বা বন্ধু দেখা করতে পারবেন। মনে করা হচ্ছে, ২৯ মার্চ থেকে নিজের এলাকার বাইরে ফের পা রাখতে পারবেন বাসিন্দারা। তবে রাত কাটানো চলবে না বাইরে।
২৯ মার্চ থেকে অর্থাৎ লকডাউন তোলার দ্বিতীয় পর্যায়ে খোলা হবে দোকানপাট। পাব ও রেস্তরাঁগুলিতে বাইরে বসে পানাহার করা যাবে। মে মাস থেকে খেলাধুলা ও গানবাজনার অনুষ্ঠান চালু হবে। তবে প্রয়োজন না-হলে বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করার চালু থাকবে এখনও। এবং আন্তর্জাতিক সফর এখনও বন্ধই রাখা হবে বলে স্থির করেছে সরকার।
ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার এই গোটা প্রক্রিয়ার উপরে নজর রাখবে প্রশাসন। সঙ্গে চলবে টিকাকরণের কাজও। সরকার আশা করছে, মে মাসের মধ্যে ব্রিটেনের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। রবিবার ই-মেল মারফত প্রকাশিত বিবৃতিতে বরিস জনসন বলেন, ‘‘শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা সবসময়েই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। তাদের শিক্ষা এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য যা সবচেয়ে জরুরি। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষ যাতে ফের প্রিয়জনদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারেন, তা-ও আমরা দেখছি।’’
এ দিকে, টিকাকরণ সত্ত্বেও আমেরিকায় করোনায় মৃত্যুর হার দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে সরকারের। গত কালই মৃত্যু পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আমেরিকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে কেটে যাবে এ বছরটাও। সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচিও জানাচ্ছেন, এই বছরটা মাস্ক পরেই কাটাতে হবে আমেরিকাবাসীকে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখ্য চিকিৎসা উপদেষ্টা ফাউচির কথায়, ‘‘এই অতিমারি ভয়ঙ্কর। ঐতিহাসিক। ১৯১৮
সালের ইনফ্লুয়েঞ্জার পরে গত ১০০ বছরে এর কাছাকাছি কোনও বিপর্যয় ঘটেনি।’’
করোনা অতিমারি মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইকেও কয়েক যুগ পিছিয়ে দিল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। তাঁর কথায়, ‘‘অনাচারের অতিমারি শুরু হয়েছে বিশ্বে। দারিদ্র, বৈষম্য, স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট, মানবাধিকার ধ্বংসের মতো ঘটনা আমাদের সমাজকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে।’’ তিনি জানান, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কোভিডকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বাক্স্বাধীনতায় আঘাত করা হয়েছে অন্তত ৮৩টি দেশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy