আট মাসের ওই একরত্তির নাম ইন্ডি গ্রেগরি। ছবি: সংগৃহীত।
আইনি লড়াইয়ের মাঝেই ব্রিটেনে প্রাণ হারাল আট মাসের একরত্তি। অথচ, তার চিকিৎসার জন্যই ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ও আইনি ব্যবস্থার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তার বাবা-মা। ইচ্ছে ছিল ইটালির রোমে নিয়ে গিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করাবেন। মেয়ের ক্রমশ ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও আদালত বাদ সেধেছিল তাতে।
আট মাসের ওই একরত্তির নাম ইন্ডি গ্রেগরি। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজ়িজ় নামের জটিল একটি জিনগত অসুখ ছিল তার। এই অসুখের কার্যত কোনও চিকিৎসা নেই। তা-ও আশায় ভর করে ইন্ডির বাবা ও মা ডিন গ্রেগরি ও ক্লেয়ার স্ট্যানিফোর্থ চেয়েছিলেন ভ্যাটিকানের আওতায় থাকা ব্যাম্বিনো জেসু হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা হোক। তাঁদের আবেদনে ইটালির প্রশাসন ইন্ডিকে সে দেশের নাগরিকত্ব দিলেও ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাতে আপত্তি জানায়। তাদের দাবি ছিল, ইন্ডির যা শারীরিক অবস্থা তাতে তাকে স্থানান্তরিত করা বিপজ্জনক। ডিন ও ক্লেয়ার আদালতে আবেদন করলে আদালতও স্বাস্থ্য মন্ত্রককে সমর্থন করে। এ দিকে, ইন্ডির অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হওয়ায় রবিবার তার জীবনদায়ী ব্যবস্থা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে। শুক্রবার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার আবেদন করেছিলেন তার বাবা-মা। সেই আবেদনও খারিজ করে আদালত।
শোকস্তব্ধ ডিন ও ক্লেয়ারের দাবি, ইন্ডিকে রোমের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে যেমন তাকে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তেমনই জীবনের শেষ মুহূর্ত নিজের বাড়িতে কাটানোর অনুমতি না দিয়ে তাকে অপমান করেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এই বিষয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তাঁর ভাই গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছিলেন যে চিকিৎসার জন্য ইন্ডিকে ইটালির নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। জর্জিয়া এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। ছোট্ট ইন্ডিকে বিদায়’। শোক প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিসও। তিনি জানিয়েছে, ইন্ডির পরিবারের পাশে রয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy