আমেরিকায় গর্ভপাতের ওষুধ ‘মাইফপ্রিস্টোন’ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
গত বছর গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্বের একেবারে প্রথম সারির একটি দেশে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় মানুষ। সেই বিতর্ক এখনও অব্যাহত। এখন এ প্রশ্নের উত্তর নেই, জরায়ু যাঁর, অধিকার কি তাঁর নয়? এর মধ্যেই টেক্সাস এবং ওয়াশিংটনের ফেডারেল বিচারক বিপরীত রায় দিলেন। যা নিয়ে ধুন্ধুমার আমেরিকায়।
গত বছর সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের অধিকার খর্ব করে দেওয়ার পর থেকেই গর্ভপাতের ওষুধ ‘মাইফপ্রিস্টোন’ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের ফেডেরাল আদালতে বিচার চলছে। শুক্রবার টেক্সাস ও ওয়াশিংটনের দুই আদালত দুই বিপরীত রায় দিল। ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) গর্ভপাতের ওষুধটিকে যে অনুমোদন দিয়েছিল, তা স্থগিত করে দিয়েছে টেক্সাসের আদালত। বিচার বিভাগকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা আবেদন জানাতে পারবে। ও দিকে, শুক্রবার রাতেই ওয়াশিংটন প্রদেশের ফেডারেল বিচারক বলেছেন, অন্তত ১২টি উদারপন্থী প্রদেশে গর্ভপাতের ওষুধ বিক্রি করতে দেওয়া হোক।
আমেরিকার গুটমাকার ইনস্টিটিউট-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২০ সালে এ দেশে যত সংখ্যক গর্ভপাত হয়েছে, অর্থাৎ ৯,৩০,১৬০টি ঘটনার ৫৩ শতাংশ হয়েছে ওষুধের সাহায্যে। ২০০৮ সালে যা ছিল ১৭ শতাংশ ছিল। ২০১৭-এ ৩৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ওষুধটি কিন্তু যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পরে গর্ভাবস্থারোধের জন্য যে ওষুধ খাওয়া হয়, সেটি নয়। অর্থাৎ এটি গর্ভনিরোধক বড়ি নয়। এটি নেওয়া হয়, যখন কোনও মহিলা জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। অর্থাৎ ভ্রূণহত্যায় ব্যবহার করা হয় ওষুধটি। ২০০০ সালে মাইফস্টোনকে অনুমোদন দিয়েছিল এফডিএ। গর্ভাবস্থার ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত এই ওষুধ ব্যবহার করা যায়। এর পরে গর্ভপাত অন্য পদ্ধতিতে করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy