সোমালিয়ায় সন্ত্রাসবাদী হামলা। ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বই হামলার ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিরল পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়ায়। শুক্রবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর একটি হোটেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুড়ি চালায় আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী। হোটেলের বাইরেও একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। ইতিমধ্যে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত হোটেলে অনেকে পণবন্দি রয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করা আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী জানিয়েছে দু’টি গাড়িতে বিস্ফোরক আনা হয়। চলে গুলিও। অন্য দিকে, সোমালিয়া গোয়েন্দা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘দু’টি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হোটেল হায়াতে আক্রমণ হয়। একটি গাড়ি একেবারে গেটের সামনে আঘাত হানে।’’
হোটেলে ঢুকতে পরপর দু’টি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। একটি হোটেলের কাছে গার্ড রেলে। অন্যটি হোটেলের গেটে। তার পরই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে হোটেলে ঢুকে পড়ে তারা। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা হোটেল ঘিরে ফিরলে পর পর গ্রেনেড ছুড়তে থাকে জঙ্গিরা। এতে হোটেলের নানা জায়গায় আগুন ধরে যায়। মোগাদিসুর পুলিশ বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, “হোটেল থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যাচ্ছে। হোটেলের মধ্যেই জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই হামলায় মোট কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।” এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জঙ্গিদের লক্ষ্য হিসাবে এই হোটেল বেছে নেওয়ার নেপথ্যে সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, হোটেলটিতে প্রায়ই রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করতে আসেন। তাঁদেরই কেউ জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন হাসান শেখ মহামুদ। তিনি দায়িত্বভার নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই প্রথম এত বড় জঙ্গি হামলা হল রাজধানীতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy