তালিবানি নিষেধাজ্ঞা আদৌ শিথিল হবে কি, উঠছে প্রশ্ন। —প্রতীকী চিত্র।
আফগান মহিলাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হবে না বলে এ বার ইঙ্গিত দিল তালিবান। আফগানিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু চলছে তালিবানের। কিন্তু তাঁদের জমানায় মহিলাদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই আবহে তালিবান নেতৃত্ব জানিয়ে দিলেন, বোরখার পরিবর্তে হিজাব পরলেই চলবে।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে সরকার চালাবে বলে আগেই বার্তা দিয়েছেন তালিবান নেতৃত্ব। শরিয়তি আইনের মধ্যে থেকে মহিলাদের কাজের অধিকারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহিলাদের পোশাকআসাকের উপর বিধিনিষেধ চাপানোর অভিযোগ নিয়েও মুখ খোলেন দোহায় তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন।
স্কাই নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহেল বলেন, ‘‘বোরখা একমাত্র আবরণ নয়। তার বাইরেও অন্য ধরনের হিজাব রয়েছে।’’ নব্বইয়ের দশকের তালিবান রাজত্বে যদিও বোরখা পরা ছিল বাধ্যতামূলক। রবিবার কাবুল দখলেরও পরেও একাধিক জায়গায় মহিলাদের বোরখা পরে বাড়ির বাইরে বেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে বোরখা কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় দোকানে দোকানে।
পা পর্যন্ত ঢাকা এবং পাতলা কাপড়ের আচ্ছাদনে মুখ ঢাকা যে পোশাক, তাকে বোরখা বলা হয়। শুধুমাত্র কাঁধ, গলা এবং মাথা ঢাকা হয় যে কাপড়ে, তাকে বলা হয় হিজাব। তালিবান সরকারে মহিলাদের শুধু মাথা ঢাকা হিজাব পরলেই চলবে কি না, তা যদিও বিশদে ব্যাখ্যা করেননি সুহেল।
এর আগে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পূর্বতন তালিবান সরকারের আমলে আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহিলাদের চাকরি করা, বেড়াতে যাওয়াও নিষিদ্ধ ছিল। সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা বোরখা পরে তবেই বাইরে বেরনো যেত। তবে ২০ বছর পর পুনরায় তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে মেয়েদের প্রাথমিক থেকে একেবারে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy