আবারও তালিবানি ফতোয়ার মুখে আফগানিস্তানের মহিলারা। ফাইল চিত্র ।
আফগানিস্তানে তালিবান দ্বিতীয় বার সরকার গঠন করেছে। তার পর এই প্রথম জাতীয় ঐক্য নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে সরকারের তরফে। সেখানে নারীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন পুরুষরা। এই সমাবেশে যোগ দেবেন দেশের ধর্মগুরু এবং প্রবীণ নেতারা। তবে তালিব সরকারের অনেক ক্ষেত্রের মতো এ ক্ষেত্রেও ব্রাত্য মহিলারা। মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পুরুষদেরই। বুধবার তালিব সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আব্দুল সালাম হানাফি এই ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার থেকে এই সমাবেশ শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সমাবেশে মহিলারা যোগ দিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, মহিলারা এই সমাবেশে যোগ দেবেন না। পুরুষরাই মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। হানাফি বলেন, ‘‘দেশের মহিলারা আমাদের মা-বোন। আমরা তাঁদের অনেক সম্মান করি। তাই ছেলেরা সমাবেশে থাকা মানেই মেয়েদেরও সমাবেশে থাকা।’’
হানাফি আরও বলেন, ‘‘বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ এই সমাবেশে জড়ো হবেন। এই সমাবেশ থেকে আফগানিস্তানের জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী করার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হবে।’’ তিনি আরও জানান, এই সমাবেশে সরকার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তালিবান সরকার। কে়ড়ে নেওয়া হয়েছে বহু মৌলিক অধিকারও। আর তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তালিবানকে। তবে সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলে সমালোচনার শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান। বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্যও বন্ধ রয়েছে। হোয়াইট হাউস ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে কী করে বের করে আনা যায়, তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে তারা এ-ও নজরে রাখবে যে, এতে যেন তালিব সরকারের কোনও সুবিধা না হয়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy