আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের নমুনা। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রেন থেকে দড়ি দিয়ে ঝোলানো তিনটি দেহ। গুলিতে ঝাঁঝরা, ক্ষতবিক্ষত। অভিযোগ, আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন ওই তিন জন। তাই তালিবান প্রশাসন মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে! বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা এবং তার পর ক্রেনে ঝোলানো পর্যন্ত সবই হয়েছে হেরাটের ডেপুটি গভর্নর মৌলানা আহমেদ মুহাজিরের তত্ত্বাবধানে।
মুহাজিরের দাবি, লুঠপাটের উদ্দেশে হামলা চালিয়েছিল ওই তিন জন। তাই এমন সাজা। হেরাটের ওবে জেলার ওই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নব্বইয়ের দশকে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে ‘অপরাধীদের’ প্রকাশ্যে সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটত প্রায়শই। সে দেশের একাধিক স্টেডিয়ামকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছিল মোল্লা মহম্মদ ওমরের আমলে। মৌলানা আখুন্দজাদার অনুগামীরাও এক পদ্ধতি অনুসরণ করছেন বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দু’য়েক আগেও অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে হেরাটে কয়েক জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে তালিবান। পরে দেহগুলি একই কায়দায় ক্রেনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা নুরউদ্দিন তুরাবি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার তালিবান শাসনেও ‘কম অপরাধের’ শাস্তি হিসেবে অপরাধীদের একটি হাত বা একটি পা কেটে দেওয়ার রীতি বজায় থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy