গাজ়া, লেবানন, ইরানের পরে এ বার নতুন করে সংঘাত মাথাচাড়া দিল পশ্চিম এশিয়ার আর এক দেশ সিরিয়ায়। গত ৪৮ ঘণ্টার লড়াইয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সেনাদের থেকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ সেনা, বিদ্রোহী এবং অসামরিক নাগরিক।
সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর অর্ধেকের বেশি অঞ্চল এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী জইশ আল-ইজ্জার দখলে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। একদা বিদ্রোহীদের ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলে পরিচিত এই শহর ২০১৬ সালে রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় পুনর্দখল করেছিল আসাদের সেনা। আলেপ্পোর পতন ঘটায় উত্তরাঞ্চলের সরকারি সেনার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহী বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে আলেপ্পোর সঙ্গে রাজধানী দামাস্কাসের সংযোগ রক্ষাকারী জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে সিরিয়া সেনা। এর পাশাপাশি, তুরস্কের মদতপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ)-র নিয়ন্ত্রণে থাকা ইদলিব প্রদেশ থেকেও নতুন করে সংঘর্ষের খবর আসতে শুরু করেছে। গৃহযুদ্ধের এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর ৭২ ঘণ্টায় মধ্যে আসাদ বাহিনীকে সামরিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়। সেখানে যুযুধান বেশ কয়েকটি পক্ষ। ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিতে শুরু করেছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলায় পূর্ব সিরিয়ার ডেইর আজ-জাওয়ার প্রদেশ এবং উত্তর-পূর্বের হাসাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছিল পেন্টাগন। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরে সিরিয়া থেকেও বেশ কয়েকটি ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছিল বাইডেন সরকার।