আধাসেনা প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলো (বাঁ দিকে) সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান (ডান দিকে)। ছবি সংগৃহীত।
সুদানে চার দিনের গৃহযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেল। সোমবার রাজধানী খারতুমে সুদানের সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর লড়াইয়ে অন্তত ৯৭ জন অসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন যুযুধান দুই সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কিছু যোদ্ধাও।শুক্রবার থেকে রাজধানী খুরাতুম-সহ সুদানের বেশ কিছু এলাকায় সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান এবং আধাসেনা প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলোর বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। ঘটনাচক্রে, সেনাশাসিত ওই দেশের সামরিক কাউন্সিলের প্রধান জেনারেল বুরহান। সহকারী প্রধান ডাগলো ওরফে জেনারেল হেমেত্তি। সূত্রের খবর, সোমবার আরএসএফের হাত থেকে রাজধানী শহরের একাংশের দখল নিয়েছে সেনা।
২০১৯ সালের এপ্রিলে সুদানে সেনা অভ্যুত্থানে গদিচ্যুত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। সেনা এবং গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। কিন্তু ২০২১-এর অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লা হামদকের নেতৃত্বাধীন সেই অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকেও উৎখাত করে সেনা। এ বার অন্তর্দ্বন্দ্ব শাস সামরিক কাউন্সিলের অন্দরেই। অতীতে গণহত্যা-সহ একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে আরএসএফের বিরুদ্ধে। ডাগালোর অভিযোগ, বশিরের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রয়েছে বুরহানের।সেনার তরফে সোমবার আরএসএফ-কে ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে সুদানে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। খারতুমের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বসবাসকারী ভারতীয়দের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার যুদ্ধের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন কেরলের বাসিন্দা অ্যালবার্ট অগাস্টাইন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy