— ফাইল চিত্র
বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্র মিলিয়ে বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশিত ও স্বীকৃত গবেষণাপত্রের নিরিখে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁদের। তালিকায় নাম রয়েছে মোট ১,৫৯,৬৮৩ জনের। তাঁদের মধ্যে ভারতের বিজ্ঞানী ১৪৯২ জন। খড়্গপুর আইআইটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিউট ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইএসইআর)-এর বিজ্ঞানীরা বেশ বড় সংখ্যায় হাজির রয়েছেন এই তালিকায়।
গোটা দেশের নিরিখে তালিকায় থাকা আইআইটিগুলির বিজ্ঞানীদের সংখ্যা ৩২৪। শুধু খড়্গপুর আইআইটির বিজ্ঞানীই রয়েছেন ৬৭ জন। অন্যান্য আইআইটি-র মধ্যে বম্বের বিজ্ঞানী ৪৭ জন, কানপুরের ৩২ জন, রুরকির ২৫ জন, গুয়াহাটির ২২ জন, বারাণসীর ১৪ জন। তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ জন, কলকাতার স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিউটের ৩২ জন এবং বিধাননগরের এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সের ৭ জন বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে।
স্ট্যানফোর্ডের এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, অন্যান্য রাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বাঙালির তালিকাটি বেশ দীর্ঘ। ‘journals.plos.org’— ওয়েবসাইটে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ তালিকাটি রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিজ-নিজ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্ক ১০০-র মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েক জনের। যেমন, বেঙ্গালুরু আইআইটির রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় (৫১), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ইন্দ্রজিৎ (৯৬), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ইমরান আলি (২৪), অশোক পাণ্ডে (৮)।
হাজারের বেশি গবেষণাপত্র স্বীকৃতি পেয়েছে যাঁদের, তাঁদের অন্যতম জেএনইউ-এর সি এন আর রাও (১৬৪০টি), আইআইটি দিল্লির ভীম সিংহ (১৫৯৮)।
বিশেষ উল্লেখের বিষয় হল, ভারতের এই বিজ্ঞানীদের গবেষণা গত বাধা নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ নয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবাধ গতি। কৃষি, পশুপালন রসায়ন, অ্যানাটমি, ‘অ্যাপলায়েড’ অঙ্ক/ পদার্থবিদ্যা, জৈব-রসায়ন/ প্রযুক্তি, চিকিৎসা-প্রযুক্তি, বায়োইনফর্ম্যাটিক্স, , জ্যোতির্বিদ্যা, শব্দবিজ্ঞান, উড়ান, গৃহনির্মাণ, ব্যবসা-পরিচালনা, কম্পিউটার, শক্তি, পরিবেশ-প্রযুক্তি, কৃত্রিম মেধা— কী নেই তালিকায়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy