পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কায় এখনও সমকামিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। প্রতীকী ছবি।
সমলিঙ্গে বিয়ের অধিকার নিয়ে এ দেশে আইনি লড়াইয়ের মধ্যে পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা থেকে সুখবর পেলেন এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষজন। সমকামিতা অসাংবিধানিক নয় বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করল শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সমকামিতাকে অপরাধের তকমা থোকে মুক্ত করতে পার্লামেন্টে বিল পেশ করায় সবুজসঙ্কেত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে মনে করছেন সমপ্রেমীদের অধিকারের জন্য সংগ্রামরত শ্রীলঙ্কার আন্দোলনকারীরা।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ দেশে সমকামিতার উপর থেকে ‘অপরাধ’-এর তকমা মুক্ত করার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার যে অংশে সমকামিতাকে অপরাধ বলে তকমা দেওয়া হয়েছিল, ওই দিন সেটি প্রত্যাহার করেছিল শীর্ষ আদালত। তবে পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কায় এখনও সমকামিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। এর শাস্তি হিসাবে কারাবাস থেকে জরিমানার বিধান হয়েছে সে দেশের আইনে। তবে তা বদলের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারীরা। সমকামিতা নিয়ে এক ডজনের বেশি আবেদনের শুনানির পর একে ‘অসাংবিধানিক’ নয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। পার্লামেন্টের স্পিকার মহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অভিমত যে, এই বিলটি সামগ্রিক ভাবে বা এর কোনও বিধান সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ নয়।’’
সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণকে ‘ঐতিহাসিক’ বলেছেন আইপ্রোবোনো নামে এক সংগঠনের আইনজীবী তথা আন্দোলনকারী কবীশা কোসওয়াটে। যদিও শীর্ষ আদালতের পর এ বার আইনসভার এই বিল পাশের জন্য ২২৫ জন সদস্যের সমর্থন জোগাড় করতে হবে তাঁদের। এ নিয়ে সরকার বা বিরোধী, কোনও পক্ষই মন্তব্য করেনি। ফলে এটি কবে আইনে পরিণত হবে, তা স্পষ্ট নয়। যদিও কবীশা মনে করেন, রামধনু সম্প্রদায়ের জন্য সামান্য হলেও আশার আলো দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অবশেষে দরজা খুলেছে। বিগত কয়েক বছরের পরিপ্রেক্ষিতে (এলজিবিটিকিউআইএপ্লাস) সম্প্রদায়ের কাছে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy