Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Sri Lanka

Sri Lanka: বিদেশি ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়, নিজেকে ঋণখেলাপি ঘোষণা ‘দেউলিয়া’ শ্রীলঙ্কার

চলতি বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ এবং সুদ মেটাতে অন্তত ৬৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৫২,৪০০ কোটি টাকা) ব্যয় করার কথা শ্রীলঙ্কা সরকারের।

শ্রীলঙ্কায় জুড়ে চলছে বিক্ষোভ।

শ্রীলঙ্কায় জুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
কলম্বো শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৪৪
Share: Save:

চরম আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে অপারগতার কথা জানাল শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সরকার শ্রীলঙ্কাকে ‘ঋণখেলাপি’ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সে দেশের অর্থনৈতিক দেউলিয়া দশা মেনে নিয়েছে।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার শ্রীলঙ্কার অর্থ দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সরকারের নীতি, স্বাভাবিক ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা।’ ঋণ দেওয়া দেশগুলি তাদের আয়ত্তে থাকা শ্রীলঙ্কার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও রাজাপক্ষে সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যে ঋণ সংক্রান্ত বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বন্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ এবং সুদ মেটাতে অন্তত ৬৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৫২,৪০০ কোটি টাকা) ব্যয় করার কথা শ্রীলঙ্কার। অথচ এপ্রিল মাসের গোড়ার সরকারি তথ্য বলছে, বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় মাত্র ২৩১ কোটি ডলারে (প্রায় ১৭,৫৪০ কোটি টাকা) এসে ঠেকেছে। বেহাল আর্থিক দশার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া এবং তাঁর দাদা তথা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দার ইস্তফার দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন। চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধানে রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া এবং পার্লামেন্টের কিছু সদস্য। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসকদের থেকে স্বাধীনতা লাভ ইস্তক শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি কখনও এমন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়নি। অতিমারি পরিস্থিতি থেকেই ধীরে ধীরে আর্থিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছিল। ২০১৯-এর শেষপর্বে শ্রীলঙ্কার বিদেশই ঋণের পরিমাণ ছিল মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯৪ শতাংশ। ২০২১-এর শেষ পর্বে তা ১১৯ শতাংশে পৌঁছয়। ফলে বিদেশি ঋণ পাওয়ার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। জানুয়ারির গোড়াতেই সে দেশে মূল্যবৃদ্ধি ২৫ শতাংশ ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্বে তলানিতে ঠেকেছিল বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার। প্রাক অতিমারি পরিস্থিতির তুলনায় বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় কমে যায় প্রায় ৭৫ শতাংশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE