কলম্বোয় মাহিন্দার বাসভবনের সামনে ভস্মীভূত গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
ক্ষমতা পেয়েই কড়া হাতে বিক্ষোভ দমনে সক্রিয় হল শ্রীলঙ্কা ফৌজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিংসা ঠেকাতে ‘দেখা মাত্র গুলির’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীকে। শ্রীলঙ্কা জুড়ে জারি জরুরি অবস্থার সময়সীমা ১১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পূর্ব উপকূলের ত্রিঙ্কোমালি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন খবর পেয়েই সেখানে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কয়েক হাজার আন্দোলনকারী নৌঘাঁটি ঘিরে ফেলেছেন বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ‘দেখা মাত্র গুলির’ সরকারি ফরমান প্রাণহানি বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বস্তুত, গত ৪৮ ঘণ্টার পরিস্থিতি দেখে শ্রীলঙ্কায় ফের গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
মঙ্গলবার সকালে মাহিন্দার সরকারি বাসভবন ‘টেম্পল ট্রিজ’ ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। বিশাল সংখ্যক সেনা রাজপক্ষের বাসভবনে পৌঁছে সপরিবার তাঁকে উদ্ধার করে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরান তাঁরা। কিন্তু তার আগে কাকভোরেই সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
শাসকদলের সমর্থন এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সোমবার পাঁচ জনের মৃত্যু হয় শ্রীলঙ্কায়। আহত হন দুশো জনেরও বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক জন পার্লামেন্ট সদস্যও। সোমবারই ইস্তফা দেন মাহিন্দা। ইস্তা দেগত কয়েক মাস ধরে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। তাঁর জন্য মাহিন্দা এবং তাঁর ভাই তথা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দায়ী বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। মঙ্গলবার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনা এবং পুলিশের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy