ফাইল চিত্র।
আশঙ্কা এ বার সত্যি হওয়ার পথে। আগামী সপ্তাহ থেকেই হয়তো গোটা অস্ট্রেলিয়ায় আর পাওয়া যাবে না গুগলের সার্চ ইঞ্জিন।
গত কয়েক মাস ধরে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে সংঘাতের পথে হেঁটেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। নিজেদের সাইটে স্থানীয় সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে প্রকাশকদের অর্থ দিতে হবে বলে গুগল, ফেসবুকের মতো সংস্থার উপরে ফরমান জারি করতে চলেছে স্কট মরিসনের সরকার। আগামী সোমবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে বিল পাশ হতে চলেছে। প্রত্যাশিত ভাবে আজই ক্যাবিনেটের সেনেট কমিটি বিলে সায় দিয়েছে।
প্রথম থেকেই এই নতুন বিলটির বিরোধিতা করে এসেছে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট। সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই থেকে শুরু করে ফেসবুকের কর্ণধার মার্ক জ়াকারবার্গ— প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে ফোন করে আগেই কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এই বিল পাশ হলে অস্ট্রেলিয়া থেকে তাদের সার্চ ইঞ্জিন সরিয়ে নিতে হবে বলে প্রায় হুমকির সুরে জানিয়ে রেখেছিল গুগল। অস্ট্রেলিয়ার দাবি, স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে এই পদক্ষেপ তাদের নিতেই হত।
ফলে সরকার ও বিশ্বের প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এই দ্বন্দ্বে মাথায় হাত পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মানুষের। ক্যানবেরার বছর চব্বিশের সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্যাট্রিক স্মিথ বললেন, ‘‘নিজের পড়াশোনার জন্য দিনে প্রায় ৫০০ বার গুগল করতে হয়। এর পরে কী হতে চলেছে জানি না।’’ সিডনিতে রেস্তরাঁ চালান ৫৮ বছরের জিনো পরো। অনলাইন রিভিউয়ের উপরে ভরসা রাখতেন এত দিন। বললেন, ‘‘এর পর আবার লোকমুখের উপরেই নির্ভর করতে হবে।।’’
গুগল পিছু হটলে অন্য কয়েকটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা জায়গা পূরণের জন্য ঝাঁপাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দৌড়ে এক নম্বরে মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন বিংগ। সংস্থার সিইও সত্য নাদেল্লার সঙ্গে মরিসনের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মরিসন অবশ্য জানিয়েছেন, খুব সম্প্রতি গুগলের সঙ্গে সরকারি স্তরে কিছু আলোচনা হয়েছে, যার ফল সদর্থক। তবে কি নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নরম হতে চলেছে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা? গুগলের কর্তারা অবশ্য আপাতত নীরব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy