ফাইল ছবি
ডেল্টা বনাম ওমিক্রন কে বেশি ভয়ঙ্কর? এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য বিশেষজ্ঞদের হাতে নেই। তবে, রোগীদের উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞেরা তাঁদের মত প্রকাশ করছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নেটওয়ার্কের বিশেষজ্ঞদের মতে, তুলনামূলক ভাবে ওমিক্রনের উপসর্গগুলি হালকা। করোনার আগের তিনটি ঢেউ যে ভাবে ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল, কোভিভের এই রূপ ততটা বিপদ ডেকে আনছে না।
ওই নেটওয়ার্কের হাসপাতালগুলিতেই চিকিৎসা চলছে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিকাংশ ওমিক্রন আক্রান্তদের। সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক রিচার্ড ফ্রিডল্যান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘গত তিনটি ঢেউয়ের তুলনায় ওমিক্রনের উপসর্গগুলি ততটা ভয়ঙ্কর নয়।’ দেশের অন্য দু’টি হাসপাতালও একই মত প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, কোভিড আক্রান্ত আধিকাংশেরই অক্সিজেন লাগছে না বা ইনটেনসিভ কেয়ারে নিতে হচ্ছে না। তবে, এ নিয়ে বিশেষজ্ঞেরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
বেসরকারি ওই স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্থাটির হাসপাতালগুলিতে যে কোভিড রোগীরা ভর্তি আছেন তাঁদের ৯০ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭ রোগীর মধ্যে ৮ জনকে ভেনন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ৮০০ কোভিড রোগীকে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকা নেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা একই। তাদের একটি হাসপাতালে তরফে জানানো হয়েছে, কোভিড লক্ষণ নিয়ে ৩২২ জনকে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মাত্র ২০ শতাংশকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে রোগীদের ৩০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। রিচার্ড ফ্রিডল্যান্ড বলেন, ‘‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, চতুর্থ তরঙ্গে রোগীদের প্রাথমিক স্তরেই চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy