২০১৭ সালে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
২০১৭ সালে ইউরোপ এবং রাশিয়ার উপরে যে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মেঘ ছেয়ে গিয়েছিল, তা আসলে রাশিয়ার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনারই ফল। সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এল। সোমবার প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৭ সালে ইউরোপের আকাশ তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল। সে সময় রাশিয়ার উরাল পর্বতের উপরও তেজস্ক্রিয় মেঘ জমেছে বলে জানিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু ওই মেঘ যে আসলে রাশিয়ার মায়াকের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ফল, তা কখনও স্বীকার করেনি রাশিয়া। রাশিয়ার নিউক্লিয়ার এজেন্সি কর্পোরেশনের তরফে বরং জানানো হয়েছিল, কোনও স্যাটেলাইল ধ্বংস হয়ে ওই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিকিরণ করেছে।
জার্মান রেডিয়ো-ইকোলজি বিজ্ঞানী জর্জ স্টেইনহসার ও তাঁর দলের গবেষণায় এ বার জানা গেল, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের উৎসস্থল প্রকৃতপক্ষে রাশিয়ার মায়াকই।
আরও পড়ুন: ছ’মাসে কাশ্মীরে নিহত ১২১ জঙ্গির ২১ জন পাক নাগরিক
গবেষণায় জানা গিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় রাশিয়ার মায়াকের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্ঘটনায় রুথেনিয়াম-১০৬ আইসোটোপের বিকিরণ হয়। তার ফলেই ওই রুথেনিয়াম-১০৬ আইসোটোপের বিকিরণই তেজস্ক্রিয় মেঘের সৃষ্টি করেছিল। তবে সেই তেজস্ক্রিয় বিকিরণের তীব্রতা অনেক কম হওয়ায় মানুষের বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি।
আরও পড়ুন: এ গ্রামে মহিলাদের গলা ‘জিরাফ’-এর মতো লম্বা, কেন জানেন?
ওই দুর্ঘটনার ৬০ বছর আগে ১৯৫৭ সালে মায়াকের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এর পর ১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চের্নোবিলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঘটেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy