নামেই ইমারত। নিয়মমাফিক দরজা-জানলা-ঘরও আছে। অথচ দেখতে কোনওটা পাখি, কোনওটা মাছ, কোনওটা বিশাল কচ্ছপের মতো। এমনকি দুমড়ে ফেলা কাগজের ঠোঙার মতো দেখতে বহুতলও আছে। বছরের পর বছর ধরে বহু পরিকল্পনা, পরিশ্রম করে মাথা খাটিয়ে সেইসব ইমারতের নকশা বানিয়েছেন স্থপতিরা। নতুন পুরনো মিলিয়ে সেই সব স্থাপত্য একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
দোমড়ানো কাগজের ঠোঙার মতো দেখতে বহুতলটি সিডনির। এর ভিতরে আছে একটি বিজনেস স্কুল— সিডনির ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি। বিজনেস স্কুলে গ্রাহকদের মন বোঝার পাঠ পড়ানো হয়। গ্রাহক দোকান থেকে জিনিস কেনার পর দুমড়ে ফেলে দেন ব্যবহার হয়ে যাওয়া কাগজের ঠোঙা। এ রকমই কিছু ভাবনা থেকে বিজনেস স্কুলের বাড়িটি দোমড়ানো কাগজের ঠোঙার মতো বানিয়েছিলেন স্থপতি ফ্র্য়াঙ্ক গেরি। স্কুলটি ছাত্র ছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে ফ্র্যাঙ্ক বলেছিলেন, ‘‘আমার কাছে এটাই দুনিয়ার সেরা কাগজের ঠোঙা। আর কোথাও এই জিনিস তৈরি করব না।’’