গাঁধী-স্মারক: ইনস্টাগ্রামে ছবিটি পোস্ট করেছে ইস্ট ব্রিস্টল অকশন্স।
সপ্তাহ চারেক আগের কথা। লন্ডনে লকডাউন চলছে। ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউসের কর্মীদের চোখে পড়ে অফিসের লেটার বক্সে একটা খাম। খুলতেই বেরিয়ে আসে একটা চশমা আর এক টুকরো কাগজ। তাতে লেখা, ‘‘এটি গাঁধীর।’’
সেই গাঁধী-চশমাই আজ রেকর্ড গড়ল নিলামে। অনুমান করা হয়েছিল ১৫ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি দাম উঠবে। কিন্তু ২ লক্ষ ৬০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হল চশমাটি।
অকশন হাউসের কর্মীরা জানান, চশমার প্রাক্তন মালিক তাঁদের খামে করে চশমাটি রেখে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এক টুকরো কাগজে লিখে রেখেছিলেন, ‘‘এই চশমা গাঁধীর। আমাকে একটা ফোন করবেন।’’
অকশন হাউস থেকে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় লোকটির সঙ্গে। জানা যায়, ওই ব্যক্তি তাঁর কাকার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে চশমাটি পেয়েছিলেন। ১৯১০ থেকে ১৯৩০ পর্যন্ত তাঁর কাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করতেন। সেই সময়ে গাঁধীও ছিলেন ও-দেশে। তিনি নিজেই চশমাটি ওই ব্যক্তির কাকাকে দিয়েছিলেন। শোনা যায়, কেউ সাহায্য করলে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর পুরনো চশমা দিতেন গাঁধীজি। ইনস্টাগ্রামে চশমার ছবি শেয়ার করে ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউস লিখেছে, ‘‘অসাধারণ জিনিসের অসাধারণ মূল্য!’’
চশমার প্রাক্তন মালিক অবশ্য এ জিনিসের মূল্য বুঝতে পারেননি। নিলামের উদ্যোক্তা অ্যান্ড্রু স্টো জানান, লোকটি তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘ও জিনিস যদি কোনও কাজের না হয়, ফেলে দেবেন।’’ স্টো তখন জানতে চেয়েছিলেন, নিলামে যদি ৫ হাজার পাউন্ড ওঠে, তাঁর চলবে কি না। তাতেই বিস্মিত হয়ে যান ভদ্রলোক। বলেছিলেন, ‘‘খুব চলবে।’’ পরে স্টো জানিয়েছিলেন, তাঁদের আশা ১৫ হাজার পাউন্ড উঠবে। স্টো বলেন, ‘‘সেটা শুনে চেয়ার থেকে প্রায় পড়েই যাচ্ছিলেন উনি।’’ নিলামে আড়াই লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি পকেটে ঢোকার পরে লোকটির প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy