মোকার তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল। বাংলাদেশের কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ছবি: পিটিআই।
শেষ হয়েছে ঝড়ের তাণ্ডব। কিন্তু বিপর্যয় এখনও কাটেনি।
বাংলাদেশের সৈকত শহর কক্সবাজার এবং মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রাজধানী, বন্দর শহর সিটওয়ের মাঝে রবিবার প্রায় ১৯৫ কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। গত এক দশকে এমন ঘটনা দেখেনি বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ওই অঞ্চল। প্রায় পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার জেরে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের চেহারা নিয়েছে ঝড়-বিধ্বস্ত মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ছয় বলে জানানো হয়েছে প্রশাসন সূত্রে।
মায়ানমারের সিটওয়ে, কায়কপিয়ু, কোকো দ্বীপের মতো এলাকায় ঘরবাড়ির ক্ষতির পাশাপাশি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, মোবাইল ফোনের টাওয়ারও। জুন্টা অনুমোদিত সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, রাখাইন প্রদেশে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের একাধিক বেস স্টেশন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। যে কারণে সেখানে মোবাইল বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ এখন প্রায় সম্পূর্ণ স্তব্ধ। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বড় ধাক্কা খাওয়ায় তাদের পক্ষে এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যদিও প্রাথমিক ভাবে তা বিপুল বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।
অন্য দিকে, বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও বেশ উদ্বেগজনক। কমপক্ষে ৩০০টি বাড়ি নয় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে কিংবা আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার সেন্ট মার্টিজ় দ্বীপে বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম বলে জানা যাচ্ছে। শাহ পরীর দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের বিধ্বংসী প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ওই অঞ্চল থেকে তাঁরা কমপক্ষে ৭,৫০,০০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানান প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। এখনও পর্যন্ত মোকায় কোনও মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy