এক কেজির বেশি গাঁজা পাওয়া গিয়েছিল, সেই ব্যক্তিকে ফাঁসি দিল সিঙ্গাপুর। — প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের আপত্তি ছিল। ফাঁসি চাননি অনেকেই। কিন্তু সমস্ত আপত্তি উড়িয়ে গাঁজা পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে ফাঁসি দিল সিঙ্গাপুর প্রশাসন। বুধবারই ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছে। ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরের আদালতে গাঁজা পাচারে দোষী সাব্যস্ত হন ৪৬ বছরের তাঙ্গারাজু সুপ্পিয়া। উচ্চ আদালতও ফাঁসির সাজা বহাল রাখে।
২০১৭ সালে ১,০১৭.৯ গ্রাম (৩৫.৯ আউন্স) গাঁজা পাচারের অভিযোগে তাঙ্গারাজুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাঁর কাছে যে পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছিল, তার অর্ধেক পরিমাণ পাওয়া গেলেও মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান রয়েছে সিঙ্গাপুরে। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেন তাঙ্গারাজু। ২০১৮ সালে সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ই বহাল রাখে আদালত। সেই সাজাই কার্যকর করা হল বুধবার।
যদিও মৃত্যুদণ্ডের সাজা স্থগিত করার আবেদন এসেছিল সারা বিশ্ব থেকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’র আবেদন করেছিল সিঙ্গাপুর প্রশাসনের কাছে। ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনও ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু বহির্বিশ্বের কোনও আবেদন-নিবেদনেই বরফ গলেনি। বুধবার সকালে ফাঁসি হয় তাঙ্গারাজুর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গাঁজা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলের পথে হাঁটছে। বিশ্ব বাণিজ্যের মক্কা বলে পরিচিত সিঙ্গাপুরের প্রতিবেশী তাইল্যান্ডে গাঁজাকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সে দেশে গাঁজা এখনও নিষিদ্ধ, কিন্তু সীমিত পরিমাণ গাঁজা নিয়ে ধরা পড়লে আইন তাঁকে ক্ষমার চোখে দেখতে চায়। সিঙ্গাপুরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। সেখানে গাঁজা বা অন্যান্য মাদক দ্রব্য নিয়ে ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ডের সংস্থান এখনও বহাল। নিয়মিত ভাবে তা কার্যকরও করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy