তাঁর কি টুইটার থেকে পদত্যাগ করা উচিত? জনতাকে এই প্রশ্ন করে এলন মাস্ক বলেছিলেন, জনগণ যে জবাব দেবে, তা ভাল হোক বা মন্দ, তাঁর পক্ষে হোক বা বিপক্ষে—তা মেনে নেবেন তিনি। অক্ষরে অক্ষরে পালনও করবেন ‘নির্দেশ’। কিন্তু টুইটারের নতুন মালিক কি ভাবতে পেরেছিলেন, জনতার জবাব তাঁর বিপক্ষেও যেতে পারে?
রবিবার বিকেলে টুইটারেই প্রশ্নটি করেছিলেন এলন। তার পর উত্তর দেওয়ার জন্য শুরু করেছিলেন একটি সহজ ভোটিং প্রক্রিয়া। হ্যাঁ অথবা না-এর বিকল্পে ক্লিক উত্তর চলে যাবে এলনের কাছে। দুনিয়া জুড়ে যে কোনও টুইটার ব্যবহারকারী উত্তর দিতে পারতেন এই প্রশ্নর। দিয়েছেনও। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ২ হাজার ৩৯১ জন ভোট দেন। তবে ভোটারদের মধ্যে ৫৭.৫ শতাংশই ভোট দেন এলনের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ অধিকাংশ ভোটারই চেয়েছেন, টুইটারের নতুন মালিক এলন টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করুন। বাকি ৪২.৫ শতাংশ ভোটার চেয়েছেন এলন থাকুন টুইটারের মাথায়। অর্থাৎ নিজের তৈরি করা ভোটে হেরে গিয়েছেন এলন।
আরও পড়ুন:
সোমবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪টে ৫০ মিনিটে ফল প্রকাশের কথা ছিল। যথাসময়েই প্রকাশ্যে আসে জনতার রায়। এলন অবশ্য তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এর পর পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেননি। বস্তুত এলন এ-ও জানাননি, তিনি না থাকলে তাঁর পদে কে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। অনুমান করা হয়েছিল, হয়তো ভোটিংয়ের পর তা জানাবেন তিনি। কিন্তু এলন তা করেননি।
Should I step down as head of Twitter? I will abide by the results of this poll.
— Elon Musk (@elonmusk) December 18, 2022
উল্লেখ্য, গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার প্রধান এলন টুইটার দখল করার পরই অর্ধেক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয় সংস্থাটি থেকে। সরিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কর্তাব্যক্তিকেও। এ ছাড়াও টুইটারে বহু নীতিগত বদল আনেন এলন। যার মধ্যে টুইটারের ব্লু টিক অ্যাকাউন্টকে চাঁদাভিত্তিক করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিয়ে গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায় ইন্টারনেট প্রভাবশালীদের মধ্যে। এ ছাড়াও এলনের সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেদন লেখা বেশ কিছু সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট অচল (ডিঅ্যাক্টিভেট) হয়ে যাওয়ায় তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই জানতে চান টুইটার কি তবে সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়? গত ২৭ অক্টোবরের পর থেকে এমনই একের পর বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছেন এলন, সমালোচিত হয়েছে টুইটার। তবে এলনের নতুন ঘোষণায় সেই পর্বে ইতি পড়তে চলেছে বলে আশা করছেন অনেকেই।