আমেরিকায় ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলার শোরুম লক্ষ্য করে আবার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। এ বার ওরেগনের শোরুমে হল হামলা। বৃহস্পতিবার সেখানে হামলার জেরে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ এবং প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন টেসলা কর্তা মাস্ক। অভিযোগ, প্রশাসনিক কর্তা হিসাবে তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেই টেসলার শোরুমে ভাঙচুর করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। যদিও তাতেও কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার আবার ওরেগনের শোরুমে হামলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, টিগার্ডের পোর্টল্যান্ডে টেসলার শোরুম লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ কয়েক ডজন গুলি ছোড়া হয়েছে। তার ফলে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শোরুমের কাচ ভেঙে পড়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের সঙ্গে তদন্তে নেমেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। কুকুর দিয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই শোরুমে গত ৬ মার্চও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল।
গত কয়েক দিন ধরেই টেসলা গাড়ি, শোরুম লক্ষ্য করে হামলা চালানো অভিযোগ উঠেছে। টেসলা কর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আমেরিকার সাধারণ মানুষদের একটা বড় অংশ। তাঁদের ক্ষোভ মূলত মাস্কের হাতে থাকা সে দেশের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে। মাস্ক সরকারের ব্যায়সঙ্কোচ করার জন্য কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছেন। এ সব নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনে তাঁর ‘নাক গলানো’-র বিষয়টিও ভাল চোখে দেখছেন না আমেরিকার সাধারণ মানুষ। তাই বার বার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহান্তে লিনউডে টেসলার ছ’টি সাইবারট্রাকে রং দিয়ে ‘স্বস্তিক’ এঁকে দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার সিয়াটলে টেসলার আরও চারটি ট্রাক পুড়ে গিয়েছে। সেগুলিতে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে গত মঙ্গলবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি একটি নতুন টেসলা গাড়ি কিনবেন। বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারিও দেন। যদিও তার পরেও থামেনি টেসলার গাড়ি বা শোরুম লক্ষ্য করে হামলা।