—ফাইল চিত্র।
নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ‘মিশন রোহিঙ্গা’-য় চললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দু’বছর আগে
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা ৮ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী সব দিক দিয়েই এখন বাংলাদেশের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে মিলে তাঁদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দু’বার চেষ্টা করা হলেও এক জন শরণার্থীও দেশে ফিরতে চাননি। বাংলাদেশ এ জন্য মায়ানমারের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আরব দেশগুলির পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কয়েকটি এনজিও-কে দায়ী করছে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি সম্প্রতি মন্তব্য করেছে, রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক
তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাশালী দেশগুলির নেতাদের যেমন দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবেন, চিন এবং মায়ানমারের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষ ত্রিপাক্ষিক আলোচনাতেও থাকবেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউ ইয়র্ক রওনা হয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হাসিনার দিল্লি সফরের দিনক্ষণ নির্দিষ্ট হয়েছে। তার আগে নিউ ইয়র্কের এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়ায় ভারতও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকাকে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সক্রিয় করতে চায় বাংলাদেশ। স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি তুলবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy