Advertisement
E-Paper

বেজিংয়ের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ তৈরির ছবি, উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)–এর তরফে জানানো হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যেই বিমানবহনকারী যুদ্ধজাহাজটি তৈরি হয়ে যাবে।

এই সেই উপগ্রহ চিত্র।—ছবি রয়টার্স।

এই সেই উপগ্রহ চিত্র।—ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪৮
Share
Save

একটি উপগ্রহ চিত্র। আর তা-ই আপাতত ঘুম কেড়েছে অনেক দেশের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, সাংহাইয়ের কাছে জিয়াংনান জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রে একটি বিশাল যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরী তৈরি করছে চিন। ছবিগুলো গত মাসের। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এত বড় রণতরী তাদের কাছে আগে ছিল না। ওই নির্মাণকেন্দ্রের ছবি দেখে আরও বোঝা যাচ্ছে যে, শুধু ওই যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীটিই নয়, একাধিক যুদ্ধজাহাজ তৈরির প্রস্তুতি চলছে। সরকারি ভাবে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বেজিং।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)–এর তরফে জানানো হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যেই বিমানবহনকারী যুদ্ধজাহাজটি তৈরি হয়ে যাবে। জাহাজ নির্মাণকেন্দ্রের পাশাপাশি ইয়াংজ়ে নদীর পাশে একটি বিরাট বন্দরও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। একটি ছোট ভেঙে পড়া বন্দরের পাশে যা চোখে পড়ার মতো। সব দেখে-শুনে অনেকেই মনে করছেন, খুব শীঘ্রই নিজেদের নৌবহরে নতুন পালক যোগ করতে চলেছে চিন। সিএসআইএসের এক বিশেষজ্ঞ জানালেন, বন্দর আর জাহাজ নির্মাণের কাজ যে ভাবে একই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে, তা দেখে এটা স্পষ্ট যে নিজেদের নৌবাহিনী নিঃশব্দে ঢেলে সাজাতে চাইছে বেজিং। বিষয়টি নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মার্কিন প্রশাসন। তবে পূর্ব এশিয়ায় তাদের নৌবাহিনীর যে আধিপত্য রয়েছে, তা আর বেশি দিন থাকবে না ভেবে রীতিমতো আশঙ্কায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ওয়াশিংটনের চিন্তার আরও কারণ রয়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে সদ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সলোমন আইল্যান্ডস। আর সেই সুযোগে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি আস্ত দ্বীপ লিজ় নিল চিনের একটি সংস্থা। কূটনীতিকরা যাকে গোটা প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় চিনের আধিপত্য বিস্তারের একটি অন্যতম প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন।

চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। সেই তাইওয়ানের সঙ্গে এত দিন ভাল সম্পর্ক ছিল সলোমন আইল্যান্ডসের। খুব সম্প্রতি তাইপেইয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপের দিকে যায়। আর তার পরে গত মাসে সলোমন আইল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং। একটি ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, গত কাল চায়না স্যাম নামে একটি চিনের সংস্থা সলোমন আইল্যান্ডসের টুলাগি দ্বীপটি লিজ় নেয়। এই টুলাগিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানের নৌঘাঁটি ছিল।

বেজিং সরকারি ভাবে ওই দ্বীপে মাছের প্রজনন ও নানা ধরনের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বললেও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারই তাদের পাখির চোখ।

China Aircraft Carrier Satellite Image

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।