মার্কিন সফরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আমেরিকা সফরে গিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট সেনেটর প্রমীলা জয়পালের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মোদী সরকারের কাশ্মীর নীতি নিয়ে সাম্প্রতিক কালে ধারাবাহিক ভাবে সমালোচনা করে গিয়েছেন প্রমীলা। মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাবও এনেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করে দেওয়ার পর জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে দেখা করার কোনও আগ্রহ নেই আমার।’’
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে দু’দেশেই। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ সংবাদপত্রে বড় করে খবরটি প্রকাশ পাওয়ার পরেই বিষয়টি সবার নজর টানে। সূত্রের খবর, আমেরিকায় ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের পাশাপাশি ‘হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স-এর চেয়ারম্যান এলিয়ট এল এঞ্জেল, মাইকেল ম্যাকল-সহ আরও বেশ কিছু সেনেটর-এর সঙ্গে একত্রে বৈঠক স্থির ছিল জয়শঙ্করের। সেই তালিকায় ছিলেন প্রমীলা জয়পালও। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে জানানো হয়, তালিকায় যদি প্রমীলা থাকেন তা হলে ওই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা সম্ভব হবে না জয়শঙ্করের। নয়াদিল্লির শর্ত এলিয়ট মানতে রাজি না-হওয়ায় বৈঠক বাতিল করে দেশে ফিরে আসেন বিদেশমন্ত্রী।
আজ বিষয়টি সম্পর্কে মুখ খুলে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘যে প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও ধারণাই (প্রমীলার) নেই। ভারত সরকার ঠিক কী করছে, সে ব্যাপারেও কিছু জানেন না। আমি এমন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতেই উৎসাহী যিনি খোলামেলা আলোচনায় বিশ্বাসী। আগে থেকে মন স্থির করে ফেলা লোকের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ নেই।’’
প্রমীলা জয়পাল মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব এনেছিলেন ৬ ডিসেম্বর। প্রস্তাবটি এনে প্রমীলা জানিয়েছিলেন, প্রথমে ভারত ও এখন আমেরিকা— এই দুই মহান গণতন্ত্রের নাগরিক থাকতে পেরে তিনি গর্বিত। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক ভাল করার জন্য তিনি লড়াইও করছেন। কিন্তু কাশ্মীরে ভারতীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। জম্মু-কাশ্মীরে বিনা বিচারে মানুষকে আটক করে রাখা, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল করে রাখা, ধর্মীয় হিংসা ছড়ানোর মতো বিষয়গুলির তীব্র নিন্দা করেছিলেন প্রমীলা। এ দিন প্রমীলার সমর্থনে টুইট করেছেন ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য কমলা হ্যারিসও। আজ কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সমালোচনা করে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিলও পাশ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy