রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। — ফাইল ছবি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একদা ঘনিষ্ঠ ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের মস্কো দখলের অভিযানের জেরে ভয়ে, আশঙ্কায় ব্যাঙ্ক থেকে যাবতীয় সঞ্চয় তুলে ফেলার ধুম পড়ে গিয়েছিল রাশিয়ায়। রাশিয়ার বহু বাসিন্দাই ভেবেছিলেন, এ বার উৎখাত হয়ে যাবেন পুতিন। আরও অস্থিরতার ভয়ে তাই ব্যাঙ্ক থেকে সঞ্চয় প্রত্যাহার। রাশিয়ার সংবাদপত্র মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি, দু’দিনের মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকরা ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার কোটি রুবল প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
প্রিগোঝিন দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার সেনা ওয়াগনার গ্রুপের অন্তত ৩০ জন যোদ্ধাকে মিসাইল আক্রমণ চালিয়ে মেরে ফেলেছে। তারই ‘বদলা’ নিতে প্রিগোঝিন মস্কো অভিযানের ডাক দেন। মস্কোর কাছাকাছি পৌঁছেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে অভিযান থমকে যায়। প্রিগোঝিন যদিও জানান, মস্কো দখল করতে গেলে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরত। সে কথা মাথায় রেখেই অভিযান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। এর পরেই বেলারুসের প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার লুকাশেঙ্কো ঘোষণা করেন, তাঁর মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। লুকাশেঙ্কো এই দাবি করলেও তাতে আশঙ্কা কমেনি আম রুশিদের। তাঁরা ভয় পাচ্ছিলেন, পুতিন উৎখাত না হয়ে যান।
স্থানীয় সংবাদপত্র মস্কো টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে সাধারণ নাগরিকরা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সমস্ত অর্থ তাঁরা তুলে নিচ্ছিলেন। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কায় নগদ জমা রাখতে চাইছিলেন নিজের হাতে। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে এই সময়কালের মধ্যে রাশিয়ানরা ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার কোটি রুবল প্রত্যাহার করেছিলেন। যা আমেরিকার ডলারের হিসাবে প্রায় ১১০ কোটি ডলার। রাশিয়ার অর্থনীতি সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ‘আরবিসি’-এর দাবি, ওই সময়কালের মধ্যে যত অর্থ প্রত্যাহার হয়েছে তা ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুন মাসে ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৫০ হাজার কোটি রুবল প্রত্যাহার হয়েছে। তার পাঁচ ভাগে এক ভাগ প্রত্যাহার হয়েছে ২৩ তারিখ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy