তিনিও দু’দিনের সফরে এসেছেন। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। রুশ বিদেশমন্ত্রী যে দিন ভারত সফরে এলেন, ঠিক সেই সময়েই আমেরিকার এই বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ।
ফাইল চিত্র।
চিন যদি ফের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে, তা হলে রাশিয়া যে ভারতের পক্ষ নেবে, এমনটা আশা করার কোনও কারণ নেই। বৃহস্পতিবার খানিকটা ‘খোঁচা’র ঢঙেই সে কথা স্মরণ করিয়ে আমেরিকা। একই সঙ্গে এই বার্তাও দিল যে, ইউক্রেনে রাশিয়া যে আগ্রাসনী ভূমিকা নিয়েছে তার পরেও ভারত তাদের কাছ থেকে যে ভাবে তেল, শক্তিসম্পদ-সহ অন্যান্য দ্রব্যের আমদানি বাড়িয়েছে সেটা খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন স্রিংলা এবং অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন আমেরিকার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলীপ সিংহ। সেই বৈঠকে তিনি চিনের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তার পরই সতর্কবার্তা দেন, চিন যদি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে তা হলে ভারতের রক্ষাকর্তা হিসেবে রাশিয়া পাশে এসে দাঁড়াবে, এমন আশা করা বৃথা। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেন, কোনও দেশ যদি রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বজায় রাখে, সেটাও ভাল চোখে দেখবে না আমেরিকা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর পরই তাদের উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। এমন পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বজায় রেখেছে ভারত। তাদের কাছ থেকে তেল এবং শক্তিসম্পদ বিপুল পরিমাণে আমদানি করছে ভারত। দলীপ জানিয়েছেন, এতে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করা হচ্ছে না ঠিকই তবে আমেরিকা চায় যে, তাদের শরিক দেশগুলি যেন কোনও ‘অবিশ্বস্ত সরবরাহকারী’র উপর এ বিষয়ে নির্ভরতা কমায়। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও, দলীপ ভারতের পাশাপাশি রাশিয়াকেও পরোক্ষে বার্তা দিতে চেয়েছেন।
বুধবার দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন দলীপ। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই ভারতে পা রেখেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। তিনিও দু’দিনের সফরে এসেছেন। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। রুশ বিদেশমন্ত্রী যে দিন ভারত সফরে এলেন, ঠিক সেই সময়েই আমেরিকার এই বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy