গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গত শুক্রবারের বৈঠকে ‘যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ’ করার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেই অবস্থান থেকে ঘুরে গিয়ে বুধবার ইউক্রেন সীমান্তে অশান্তির কারণে সেনা সন্নিবেশের ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পর্বে জোসেফ স্তালিনের পর এই প্রথম কোনও রুশ প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনা সমাবেশের ঘোষণা করলেন।
আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি দীর্ঘ দিন ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে পুতিন বলেন, ‘‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর কোনও আঘাত এলে রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। প্রয়োজনে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ হবে।’’ সেই সঙ্গে জানান, রুশ সেনার ২০ লক্ষের সংরক্ষিত বাহিনীর একাংশকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য নতুন ভাবে সন্নিবেশিত করা হবে।
সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, গত কয়েক মাসে ইউক্রেন ফৌজের প্রত্যাঘাতে বহু এলাকা হারানোর পরে নতুন শক্তি সঞ্চয় করে হামলা চালাতে চাইছে রাশিয়া। পুতিনের বক্তব্যে সে বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা। এমনকি, প্রয়োজনে রাশিয়া পরমাণু হামলা চালাতে পারে বলেও পুতিনের বক্তৃতায় আঁচ মিলেছে বলে তাঁদের দাবি। প্রসঙ্গত, চলিত সপ্তাহেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে চরম পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে রাশিয়াকে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে চলতি মাসে উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহর হারিয়েছে রাশিয়া। এর পর খারকিভের ৯০ কিলোমিটার পূর্বে রুশ সীমান্তবর্তী শহর বারলুক হাতছাড়া হওয়া পুতিন বাহিনীর কাছে ‘বড় ধাক্কা’ হয়েছে। তার আগে দক্ষিণের খেরসন প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাও রুশ দখলমুক্ত করেছে ইউক্রেন বাহিনী। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সোমবার দাবি করেন, রুশ সেনার দখল থেকে তাঁরা ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল মুক্ত করেছেন। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের ঘোষণাকে নতুন করে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy