আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের সুরক্ষা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেমলিন। ফাইল চিত্র ।
ভারতীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ (মস্কোর সময় অনুযায়ী সকাল ১০টা) ফের যুদ্ধবিরতি ঘোযণা করল রাশিয়া। সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফেরানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিল ক্রেমলিন। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সুমি-সহ মোট পাঁচ শহরের ছাত্রদের সুরক্ষিত ভাবে দেশে ফেরানোর সুবিধা করে দিতে রাজি হয়েছে। সুমি ছাড়া কিভ, খারকিভ, মারিউপোল এবং চারনিগিভ শহরের পড়ুয়াদেরও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ছাড়ার জন্য এই যুদ্ধবিরতি ঘোযণা করা হয়েছে বলেও রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে।
এর আগেও মানবিক করিডর তৈরি করে দিতে ইউক্রেনের একধিক শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেনের দাবি, এ সবই রাশিয়ার ‘নাটক’। কারণ এর আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেও রুশ সেনা আক্রমণ চালিয়েছে কিভ-সহ বহু শহরে। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের।
সোমবারও ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে খারকিভ, মারিউপুল এবং সুমি শহরে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-র অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। দিন দু’য়েক আগে মাকরেঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় পুতিনের। মনে করা হয়, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত।
যদিও একে আমল দিতে নারাজ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি। তাদের অভিযোগ, এর আগে দু’বার ইউক্রেনের মারিউপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। কিন্তু প্রতিবারই সেই বিরতি ভেঙে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
In order to conduct a humanitarian operation, from 10:00am. (Moscow time) on March 8, the Russian Federation declares ceasefire and is ready to provide humanitarian corridors, says Russian Embassy in India#RussiaUkraine pic.twitter.com/b7taT6gq6V
— ANI (@ANI) March 8, 2022
১৩ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে রবিবার জানানো হয়েছে, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনে ২৬০ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে শরণার্থী হয়ে গিয়েছেন। ইউক্রেনের অভিযোগ, খারকিভের একটি পরমাণু চুল্লির কাছে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই হামলা চালাতে তারা যে গ্র্যান্ড লঞ্চার ব্যবহার করছে, তার নিশানা তেমন পোক্ত নয়। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ওই পরমাণু চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এক বার যদি সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, তবে তার প্রভাব ইউরোপের দেশগুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতির ডাক দিলেও তা সদর্থক ভাবে গ্রহণ করতে পারছে না কিভ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy