Russia Ukraine War: Olympic Shooter Kristina Dmitrenko joins Ukraine Force to fight against Russia dgtl
Russia Ukraine War
Russia Ukraine War: ‘শেষ দেখে ছাড়ব’, অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী শ্যুটার যোগ দিলেন ইউক্রেন বাহিনীতে
সোনাজয়ী অলিম্পিক্স শ্যুটার ক্রিস্টিনা জানান, তাঁর হাতে যে অস্ত্রই থাকুক না কেন, সবেতেই তিনি স্বচ্ছন্দ। বলেন, ‘‘লক্ষ্য কখনও ফসকায় না। ’’
সংবাদ সংস্থা
কিভশেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ১৪:২৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
২৭ ফেব্রুয়ারি সুইজারল্যান্ড, তার পরে ইটালিতে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ২২ বছরের ইউক্রেনীয় শ্যুটার ক্রিস্টিনা দিমিত্রেঙ্কো। আর ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর দেশে হানা দিল রুশ সেনা। এক লহমায় বদলে গেল তাঁর খেলোয়াড় জীবন। প্রতি দিন দেশের একের পর এক জায়গায় রুশ সেনার ধ্বংসলীলার খবর। আর বসে থাকতে পারলেন না। বন্দুক তুলে নিলেন দেশ রক্ষা করতে। ক্রিস্টিনা যোগ দিলেন ইউক্রেন সেনাবাহিনীতে।
ছবি: সংগৃহীত
০২১৪
অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছেন তিনি। ২০১৬ সালে যুব অলিম্পিক্স গেমসে সোনাজয়ী ক্রিস্টিনা এ বার নাম লেখালেন দেশের সেনাবাহিনীতে। মাতৃভূমি রক্ষায় নিজের দক্ষতা কাজে লাগাতে চান তিনি।
ছবি: সংগৃহীত
০৩১৪
বয়স মাত্র ২২ বছর। স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়ার। ফেব্রুয়ারি মাসে কার্পাথিয়ান পর্বতমালায় ক্যাম্প করে নিজের শ্যুটিং অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন তরুণী ক্রিস্টিনা। খবর এল, তাঁর দেশ আক্রমণ করেছে পুতিন-বাহিনী। কয়েক দিনের মধ্যেই বদলে গেল লক্ষ্য। অস্ত্র একই থাকল, কিন্তু বদলে গেল যুদ্ধক্ষেত্র।
ছবি: সংগৃহীত
০৪১৪
কিভ এবং চেরনোহিভে রুশ বাহিনীর আক্রমণের ছবি দেখে স্থির থাকতে পারেননি ক্রিস্টিনা। সিদ্ধান্ত নেন যোগ দেবেন সেনাবাহিনীতে। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করলেন ইউক্রেনের জাতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে। কয়েক মাসের প্রশিক্ষণ শেষে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে তৈরি তিনি। জানালেন নিজেই।
ছবি: সংগৃহীত
০৫১৪
দেশের সংবাদমাধ্যমকে ক্রিস্টিনা জানান, ফলাফল যাই হোক, এর শেষ দেখে ছাড়বেন। কোনও ভাবে পিছিয়ে আসবেন না।
ছবি: সংগৃহীত
০৬১৪
কিন্তু সত্যিই কি চেয়েছিলেন এ সব? ক্রিস্টিনা নিজে জানাচ্ছেন, কখনও ভাবেননি শত্রুপক্ষকে রুখতে নিজের দক্ষতাকে এ ভাবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি চেয়েছিলেন লক্ষ্যভেদ করে একের পর এক পদক এনে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে। কিন্তু পরিস্থিতি মানুষকে বদলে দেয়। বদলে যায় সিদ্ধান্ত। তাই তিনি এখন সেনাবাহিনীতে।
ছবি: সংগৃহীত
০৭১৪
ক্রিস্টিনার নিজের কথায়, ‘‘আমি কখনও ভাবিনি সব কিছু এমন হয়ে যাবে। অস্ত্র হাতে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে হবে। কিন্তু কী আর করা যাবে। দেশের এই সঙ্কটের সময় তো ঘরে বসে থাকা চলে না।’’
ছবি: সংগৃহীত
০৮১৪
তবে যুদ্ধক্ষেত্রেও তিনি জিতবেন, নিশ্চিত ক্রিস্টিনা। অলিম্পিকে সোনা-বিজয়িনীর কথায়, ‘‘কোনও শত্রুকেই কখনও ভয় পাইনি। পাবও না।’’
ছবি: সংগৃহীত
০৯১৪
রুশ বাহিনীর উদ্দেশে ক্রিস্টিনার হুঁশিয়ারি, ‘‘আমার লক্ষ্য কখনও ভুল হয় না। গুলি এমন ভাবে ছুড়ব যে, আক্রমণকারী জবাবের সুযোগই পাবে না।’’
ছবি: সংগৃহীত
১০১৪
কোন ধরনের অস্ত্রে বেশি স্বচ্ছন্দ তিনি? ক্রিস্টিনা জানান, মেশিনগান হোক বা রাইফেল, সবেতেই তিনি সমান পারদর্শী।
ছবি: সংগৃহীত
১১১৪
ক্রিস্টিনার কথায়, ‘‘আমার হাতে যে অস্ত্রই থাকুক না কেন, সামরিক বাহিনী হোক বা অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যেখানেই থাকি না কেন, আমি শেষ দেখে ছাড়ি।’’
ছবি: সংগৃহীত
১২১৪
ইউক্রেনের তরুণী তারকা শ্যুটারের মন্তব্য, ‘‘জয় আমাদের অবশ্যই হবে। আমি এটা মন থেকে বিশ্বাস করি।’’
ছবি: সংগৃহীত
১৩১৪
এই মুহূর্তে খারকিভ থেকে রুশ বাহিনীকে হঠাতে মরনপণ লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন।
ছবি: সংগৃহীত
১৪১৪
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জানাচ্ছেন, ডনবাসে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তা ছাড়া দেশের অন্যত্রও ঢোকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।