ইউক্রেন সেনাকে লেপার্ড ট্যাঙ্ক দিতে নারাজ জার্মানি। ছবি: এএফপি
আমেরিকার পথে হাঁটতে নারাজ জার্মানি। শুক্রবার জো বাইডেন সরকার সে দেশের সেরা সাঁজোয়া গাড়ি স্ট্রাইকার দেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশের অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের তৈরি লেপার্ড ট্যাঙ্ক কিভে পাঠাতে নারাজ জার্মানি।
সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মস্কোর বিষনজরে পড়ার ভয়েই বার্লিনের এই সাবধানী নীতি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও রাশিয়ায় গ্যাসের উপর জার্মানির নির্ভরতা রয়েছে যথেষ্টই। তাই নেটোর সদস্য দেশ হয়েও ইউক্রেনকে লেপার্ড সরবরাহে এখনও সম্মত হয়নি তারা। শুক্রবার জার্মান বিদেশ দফতর জানিয়েছে, তাদের মিত্র দেশগুলির মধ্যে ঐকমত্য হলে ইউক্রেনে লেপার্ড পাঠানো যাবে।
ইউরোপ জুড়ে নেটো বাহিনীতে বিপুলসংখ্যক লেপার্ড রয়েছে। ইউক্রেন সেনার পক্ষে এই ট্যাঙ্ক উপযুক্ত হত বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। লেপার্ড হাতে পেলে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনীর পক্ষে রুশ টি-৯০ ট্যাঙ্কের মোকাবিলা করা অনেক সহজ হত। লেপার্ডের ১২০ মিলিমিটারের দূরপাল্লার এল-৩০ কামান বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারতে রুশ ফৌজের উপর। পাশাপাশি, এই ট্যাঙ্কের এল৩৭এ২ বিমান বিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় কামান (অটোক্যানন) রুশ ড্রোন হামলারও মোকাবিলা করতে পারত।
প্রসঙ্গত, পেন্টাগনের তরফে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জন্য ২৫০ কোটি ডলারের (প্রায় ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা) সামরিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ৯০টি স্ট্রাইকার সাঁজোয়া গাড়ি। মূলত রুশ গোলা ও বোমাবর্ষণ এড়িয়ে নিরাপদে যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের পাঠাতে কাজে লাগে এই সামরিক যান। পাশাপাশি, শত্রুর উপর প্রতি আক্রমণেও এই সাঁজোয়া যান দক্ষ। এই প্রথম ইউক্রেন সেনাকে স্ট্রাইকার দিচ্ছে ওয়াশিংটন। বাইডেন সরকারের এই সিদ্ধান্তে পূর্বের রণাঙ্গনে রুশ ফৌজ বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy