Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Russia

Russia Ukraine Conflict: পশ্চিমী দুনিয়া থেকে অস্ত্র ঢুকছে ইউক্রেনে! একটু দেরি হয়ে গেল কি? উঠছে প্রশ্ন

পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, অস্ত্র যে আসবে তার ব্যবহার করবে কে? অস্ত্র পাঠানোর আর কি কোনও তাৎপর্য আছে! ক্ষতি যা হওয়ার তা কি ইতিমধ্যেই হয়ে যায়নি?

ছবি : টুইটার থেকে।

সংবাদ সংস্থা
কিভ শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:০৯
Share: Save:

সার সার অস্ত্র ঢুকছে ইউক্রেনে। রবিবার সকালেই জার্মানি থেকে এসে পৌঁছেছে রাশি রাশি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র। যদিও যুদ্ধবিশারদরা প্রশ্ন তুলেছে আর কি এর প্রয়োজন আছে?

যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে ইউক্রেন সেনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার সৈন্য যুদ্ধ করছে না ঠিকই, তবে পশ্চিমী দেশগুলি এখন আর অস্ত্র পাঠাতে কার্পণ্য করছে না। তারা এ-ও জানিয়েছে যে, ইউক্রেন চাইলে আগামী দিনে আরও অস্ত্র পাঠানো হবে। কিন্তু অস্ত্র নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলির এই দরাজহস্ত হওয়ার কি আর কি কোনও প্রয়োজন আছে? এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলল আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপ-আমেরিকার অস্ত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, অস্ত্র যে আসবে, তার ব্যবহার করবে কে? এখন অস্ত্র পাঠানোর কি আর কোনও তাৎপর্য আছে! ক্ষতি যা হওয়ার তা কি ইতিমধ্যেই হয়ে যায়নি?

গত বৃহস্পতিবার সকালে একটি টিভি বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনা অভিযানের ঘোষণা করেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। তার পর থেকে ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার নিরন্তর হামলায় বিধ্বস্ত আকারে ছোট, আপাত শান্ত দেশ ইউক্রেন। পুতিন বাহিনীর দৌরাত্ম্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। গত তিন দিনে মারাও গিয়েছেন শ’দুয়েক নাগরিক, সেনাকর্মী। রুশ ফৌজ পৌঁছে গিয়েছে রাজধানী কিভের উপকণ্ঠে। রাজধানীতে যাঁরা পথে নেমে যুদ্ধ করছেন, তাঁদের অনেকেই সাধারণ নাগরিক। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এখন পশ্চিমের অস্ত্র পেয়ে কি সত্যিই আর কোনও লাভ হবে? রাশিয়ার হামলার মুখে কোণঠাসা ইউক্রেনের যখন পশ্চিমী দেশগুলির সমর্থনের সব চেয়ে বেশি দরকার ছিল, তখন পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা। এখন সাহায্য পাঠিয়ে লাভ কি।

এ দিকে, যুদ্ধের মধ্যেও নিজের এবং পরিবারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী কিভেই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি। যুদ্ধবিশারদরা বলছেন, রুশ বাহিনীর হাতে তাঁর বন্দি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। অল্প ক্ষমতা নিয়ে এখনও লড়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু জেলেনস্কি বন্দি হলে তাঁদেরও মনোবল ভাঙবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, বড্ড দেরি হয়ে গেল সাহায্যে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy