ছবি রয়টার্স।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে ইউক্রেনের মারিয়ুপোলের পতন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বার রাশিয়ার পরবর্তী নিশানা নিপ্রো শহর বলে মনে করছে ইউক্রেন। আক্রমণের আঁচ পেয়ে দ্রুত শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের শহর ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় সরে যেতে বলেছে নিপ্রো প্রশাসন।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক আর লুহানস্ক অঞ্চলে ইতিমধ্যে সেনা জড়ো করতে শুরু করেছে রাশিয়া। সামরিক সাহায্য চেয়ে ইউক্রেন যখন বিশ্বের কাছে দরবার করছে, তখন রাশিয়া ফের নতুন শক্তিতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, আগামী ২-৩ সপ্তাহে পূর্ব ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় জোরদার হামলা করবে রাশিয়া। চাইবে লুহানস্ক ও ডনেৎস্ক সংলগ্ন এলাকাগুলি দখল করতে। নিপ্রোর পাশাপাশি নিশানায় থাকবে খেরসন, মিকোলেভ, ক্রামাতোরস্ক। হামলার মাত্রা বাড়াতে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে আজ পশ্চিমি দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। মারিয়ুপোল বন্দরের কাছে রাশিয়া ফসফরাস জাতীয় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। আজ সেই প্রসঙ্গে জ়েলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলার আর্জি জানিয়েছেন। রাশিয়ার সমস্ত ব্যাঙ্ককে এবং সে দেশের তেল আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাশিয়া থেকে জ্বালানি গ্যাস আমদানি বন্ধের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করার দাবি জানান জ়েলেনস্কি।
শান্তি বৈঠকের পরিস্থিতি তৈরি হলেও যুদ্ধে যে ছেদ পড়বে না, তা আগেই জানিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘‘দেশকে রক্ষাকে করতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। আমাদের লক্ষ্য একেবারেই পরিষ্কার। আমাদের উদ্দেশ্য মহান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy