প্রতীকী ছবি
করোনা নিরাময়ে দেশে-বিদেশে নানা গবেষণা চলছে। পরীক্ষাধীন ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু করেছে কিছু দেশ। তবে রাশিয়াই প্রথম আগামী সপ্তাহ থেকে রোগীদের পরীক্ষাকৃত ওষুধ দিতে শুরু করবে। সে জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছে তারা। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটির নাম রাখা হয়েছে ‘আভিফাভিয়ার’। ১১ জুন থেকে রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে বলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাসে ৬০ হাজার জনকে ওই ওষুধের জোগান দিতে পারবে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।
এই মুহূর্তে কোভিড-১৯-এর কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। ‘গিলিড’-এর ওষুধ ‘রেমডেসিভিয়ার’ আশার আলো দেখাচ্ছে। কিন্তু সার্বিক ভাবে ব্যবহারের ছাড়পত্র পায়নি। সামান্য কিছু দেশে অল্পসংখ্যক রোগীকে ওষুধটি দেওয়া হয়েছিল। সবাই সমান ফলও পাননি।
ইতিমধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চ্যাডক্স১’ নামে একটি প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের দাবি, তাঁদের প্রতিষেধক সাফল্য পাবে। কিন্তু সে সব শেষ হতে দেরি আছে। এ দিকে গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ৬৩ লক্ষ ছুঁইছুঁই। ৩ লক্ষ ৭৪ হাজারেরও বেশি মারা গিয়েছেন। শুধু আমেরিকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি রোগীর।
‘আভিফাভিয়ার’ ওষুধটির জেনেরিক নাম ‘ফাভিপিরাভিয়ার’। ১৯৯০-এর শেষের দিকে সেটি তৈরি করে জাপানের একটি সংস্থা। আরএনএ ভাইরাস প্রতিরোধে ভাল কাজ দেয় ওষুধটি। ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’-এর প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ‘ফাভিপিরাভিয়ার’-এর ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নতুন ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। এর গুণাগুণ কী বাড়ানো হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তা প্রকাশ করবে মস্কো।
জাপানেও এই ওষুধটির প্রয়োগ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সেখানে এর নাম ‘আভিগান’। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এক প্রকার অনুমোদনও দিয়ে ফেলেছেন। এবং এই খাতে ১২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার সরকারি তহবিল থেকেও দিয়েছেন। কিন্তু রোগীদের উপর প্রয়োগের ছাড়পত্র এখনও মেলেনি।
ও দিকে করোনার সঙ্গে যুঝতে মাসখানেক আগে ভারত থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ) চেয়ে পাঠায় আমেরিকা। এ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ এইচসিকিউ পাড়িও দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। এ বার আমেরিকা ২০ লক্ষ ডোজ়ের এইচসিকিউ পাঠাল ব্রাজ়িলে। আজ বিবৃতি দিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এ কথা।
অসংখ্য করোনা-গবেষণার মধ্যে একটি এখন দাবি করছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ মিটার উচ্চতায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের হার কম দেখা যাচ্ছে। ‘রেসপিরেটোরি ফিজ়িয়োলজি অ্যান্ড নিউরোবায়োলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
আরও পড়ুন: ‘লুকিয়ে পড়বেন না মিঃ প্রেসিডেন্ট’! সুযোগ পেয়েই ট্রাম্পকে খোঁচা চিনের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy