Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Canada Political Crisis

উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, চাপে কানাডার প্রধানমন্ত্রী! ট্রুডোর ইস্তফার দাবি উঠছে দলের ভিতর থেকেই

বেশ কয়েক দিন ধরেই দেশের নানাবিধ সমস্যার কারণে কোণঠাসা কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশের আর্থিক ঘাটতি নিয়ে চাপে তিনি। সেই পরিস্থিতিতে আচমকাই পদত্যাগ করেন কানাডার অর্থমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।

Ruling party MPs demand PM Justine Trudeau’s resignation

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৯
Share: Save:

এ বার কানাডায় শুরু হল রাজনৈতিক অস্থিরতা। আচমকাই পদত্যাগ করেন কানাডার অর্থমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। পদত্যাগ করার জন্য প্রকারান্তরে ট্রুডোকেই দায়ী করেছেন তিনি। তার জেরে লিবারেল পার্টির মধ্যেই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে ট্রুডো এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, না পদ ছাড়বেন, তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে।

বেশ কয়েক দিন ধরেই দেশের নানাবিধ সমস্যার কারণে কোণঠাসা কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দেশের আর্থিক ঘাটতি নিয়ে চাপে তিনি। সেই পরিস্থিতিতে তার পর থেকেই কানাডায় নতুন করে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সেই আবহে ট্রুডো ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রীর পদে তাঁর বিশ্বস্ত সহকর্মী ডমিনিক লেব্লুঁকে বসিয়েছেন। অনেকের মতে, এর জেরে শাসক শিবিরের মধ্যেই বিদ্রোহের জন্ম হয়েছে।

কানাডার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, প্রায় ৬০ জন সাংসদ ইতিমধ্যেই ট্রুডোর বিরোধিতা করছেন। কয়েক মাসে কানাডায় ট্রুডোর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে। তাঁর নিজের দলের অন্দরেই তিনি বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। সোমবার অর্থমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ জমতে থাকা ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি করে। এ বার প্রকাশ্যেই লিবারেল পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যেরা ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি তুললেন।

নিজের দলের সাংসদের দাবি নিয়ে মুখ খোলেননি ট্রুডো। এমনকি, নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও রা কাড়েননি। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে শুধু বলতে শোনা যায়, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা আমার জীবনে পরম সৌভাগ্য। কানাডা বিশ্বের সেরা দেশ, তবে নিখুঁত নয়। তাই প্রতি দিনই ভাল কিছু করার বিষয়ে চিন্তা করি।’’

ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পরই দেশের প্রধান বিরোধী দল কনজ়ারভেটিভরা ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি তোলে। বিরোধী নেতা পিয়েরে পোইলিভর বলেন, ‘‘ট্রুডোর উপর এখন কারও আস্থা নেই। এমনকি, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও আস্থা হারিয়েছেন তিনি।’’ লিবারেল পার্টির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছেন, ‘‘ট্রুডোর সরকার শেষ। তাঁকে অবশ্যই তা স্বীকার করতে হবে।’’ আবার ট্রুডোর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু হল।

অন্য বিষয়গুলি:

Canada Justin Trudeau
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy