মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগে টানা ২২ মাস তদন্ত করেছেন তিনি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একপ্রকার ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া ছাড়া সে ভাবে মুখ খোলেননি। গত মাসে মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঠিক আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমার রিপোর্টই আমার সাক্ষ্য। আলাদা করে কংগ্রেসের মুখোমুখি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’’ কিন্তু এ বার কংগ্রেসের আইনি সমনে সাক্ষ্য দিতে ‘রাজি’ হলেন রবার্ট এস মুলার। কাল রাতে খবরটা রাষ্ট্র হতেই দু’শব্দের টুইট করলেন ট্রাম্প— ‘প্রেসিডেন্শিয়াল হ্যারাসমেন্ট’। অর্থাৎ, এই ‘হেনস্থায়’ প্রেসিডেন্টের বিরক্তি স্পষ্ট। কিন্তু ১৭ জুলাই হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের বিচারবিভাগীয় এবং গোয়েন্দা কমিটির সামনে মুলার কী বলেন, সে দিকে নজর থাকবে তাঁরও। আগামী বছরেই যে ফের ভোট!
যৌথ বিবৃতি দিয়ে হাউসের ওই দুই প্যানেলের প্রধান বলেন, ‘‘আমাদের ভোটে রাশিয়া কী ভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল, কারা তাতে জড়িত ছিল, কী ভাবে তদন্ত হল— আমেরিকার মানুষ তা সরাসরি মুলারের থেকে শুনতে চান।’’ এবং তাঁদের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা মুলারের নাগরিক কর্তব্য বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা। ১৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এবং তা ‘লাইভ’ দেখানোর কথা।
৫০০টি সাক্ষাৎকার, একই সংখ্যক তল্লাশি পরোয়ানা এবং প্রায় আড়াই হাজার লিখিত এবং মৌখিক সাক্ষ্য নিয়ে গত মার্চে প্রায় সাড়ে চারশো পাতার তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল মুলারের টিম। রিপোর্টের দু’টো অংশ— রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং তদন্তে বাধা। কিন্তু এর সবটা নয়, প্রথমে চার পাতা এবং পরে আরও খানিকটা বেশি অথচ সম্পাদিত একটি সংস্করণ নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। বলেছিলেন, ‘‘বিশেষ কৌঁসুলির রিপোর্ট থেকে এটা স্পষ্ট যে, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে নাক গলিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু ট্রাম্পও যে এতে জড়িত ছিলেন, তা এই রিপোর্ট থেকে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।’’ তবে কংগ্রেস চাইলে তদন্ত করতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
তখন থেকেই ডেমোক্র্যাটরা দাবি করতে থাকেন, মুলার নিজে এসে সাক্ষ্য দিন কংগ্রেসে। রাজি হননি মুলার। মে-র শেষে মার্কিন বিচার বিভাগে ইস্তফা ঘোষণা করতে এসে আট মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি শুধু বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট অপরাধী কি না, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তা ছাড়া পদে থাকাকালীন কোনও প্রেসিডেন্টকে কেন্দ্রীয় অপরাধমূলক আইনে অভিযুক্ত করা যায় না, এটা অসাংবিধানিক।’’
এ বার কী হবে? ১৭ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আশাবাদী হলেও, মুলার শেষমেশ আসবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তাঁদের মতে, নিয়মের মারপ্যাঁচে মুলারকে আটকে দেওয়ার একটা চেষ্টা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy