Advertisement
১১ জানুয়ারি ২০২৫
Joe Biden

ধনীদের কর বাড়তে পারে আমেরিকায়

দেশের জন্য তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে এ বার আমেরিকার কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যত হয়েছেন জো বাইডেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

  সংবাদ সংস্থা 
শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ০৭:৩৭
Share: Save:

‘কথা রাখতে চেয়ে’ বিতর্কে জড়ালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

দেশের জন্য তাঁর অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে এ বার আমেরিকার কর ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যত হয়েছেন জো বাইডেন। যার প্রাথমিক খসড়া বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, বিত্তশালী নাগরিকদের উপরেই এই পরিবর্তিত নীতির প্রভাব পড়তে চলেছে সবচেয়ে বেশি। প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, ধনীদের পাশাপাশি বড় সংস্থাগুলির লগ্নি থেকে উপার্জিত লাভের উপরেও করের বোঝা যতটা বাড়তে চলেছে, তারও নজির নেই এ দেশে। এ নিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক।

সকল শিশুর সঠিক পরিচর্যা, তাদের সকলের জন্য প্রি-কিন্ডারগার্টেন স্তরের শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব স্তরের কর্মীদের সবেতন ছুটি (পেড লিভ) নেওয়ার সুবিধা দেওয়া-সহ একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের। যার জন্য প্রয়োজন প্রায় এক লক্ষ কোটি ডলার! হোয়াইট হাউসের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বিপুল পরিমাণ খরচ বহনের সাহাযার্থেই আয়করের মাত্রা
৩৭% থেকে বাড়িয়ে ৩৯.৬% করার প্রস্তাব আনা হবে। পাশাপাশি যাঁদের আয় ১০ লক্ষ ডলারের উপরে শুধুমাত্র তাঁদের ক্ষেত্রেই লগ্নি থেকে আসা লাভের উপরে করের মাত্রা ৩৯.৬% করা হতে পারে। যা বর্তমানের তুলনায় অনেকটাই বেশি। আমেরিকায় লগ্নির লভ্যাংশের উপর কর প্রথম থেকেই শুধু ধনীদের উপরেই চাপানো হয়। তবে ১৯২০ সালের পর থেকে সেই অঙ্কে কোনও বদল ঘটেনি। বরাবরই তা ৩৩.৮ শতাংশই ছিল। বাইডেনের এই নতুন কর নীতি বলবৎ হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে চলে আসা নিয়ম ভেঙে তা রীতিমতো ইতিহাস সৃষ্টি করবে!

বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান অংশ ছিল তাঁর এই ১ লক্ষ কোটি ডলারের ‘অর্থনৈতিক পরিকল্পনার’ রূপায়ণ। তবে তা সত্যি করতে গিয়ে প্রেসিডেন্টের কর বৃদ্ধির পন্থা বেছে নেওয়ার বিরূপ প্রভাব দেখা গেল নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে। হোয়াইট হাউসের এই প্রস্তাবিত নীতির খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্ডেক্সের গতি নিম্মমুখী।

তবে এই কর বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে কংগ্রেসে তা পাস করাতে হবে। সেখানে বাইডেনের দল, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা সকলে এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী দল রিপাবলিকানরা এতে কতটা সায় দেবে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে তা নিয়েও। অন্য দিকে স্টক মার্কেটের এক কর্তার আশঙ্কা, যদি কোনও ভাবে এই প্রস্তাব পাস হয়ে যায়, তা হলে ইন্ডেক্সে কমপক্ষে দু’হাজার পয়েন্টের ধস আটকানো কার্যত অসম্ভব
হয়ে দাঁড়াবে।

যদিও শুধু খসড়া ঘিরে আতঙ্কিত না-হওয়ার আর্জি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। আগামী বুধবার আমেরিকার কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য রাখবেন বাইডেন। ওই দিনই এই প্রস্তাবের বিশদ বিবরণ প্রকাশ করা হবে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে বেশ কিছু বদল আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন হোয়াইট হাউসের একাধিক আধিকারিক।

অন্য বিষয়গুলি:

Joe Biden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy