বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। - ফাইল ছবি।
ভারতে সংখ্যালঘুরা এখনও হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন বলে মার্কিন কংগ্রেসে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাকে খারিজ করে দিল বিদেশ মন্ত্রক। বলা হল, ভারতে নাগরিকদের অবস্থা কেমন, তা নিয়ে বিদেশিদের বলার কোনও এক্তিয়ার নেই। এর আগে কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপির তরফেও ওই মার্কিন রিপোর্টকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ তকমা দেওয়া হয়েছিল।
‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম, ২০১৮’ শীর্ষক মার্কিন বিদেশ দফতরের ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘‘ভারতের মতো একটি সজীব গণতান্ত্রিক দেশে সংখ্যালঘু-সহ প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলিকে সংবিধানই সুরক্ষিত রেখেছে। সেই অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি না, কোনও বিদেশি বা অন্য দেশের সরকারের তার উপর নজর রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি না।’’
মার্কিন বিদেশ দফতর রিপোর্টটি পেশ করছে কংগ্রেসে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘২০১৭ সালেও ভারতে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনমনের ধারা অব্যাহত ছিল। ভারতের মতো একটি বহু ধর্ম ও বহু সংস্কৃতির দেশে ওই ঘটনা আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। ধর্মের সঙ্গে জাতীয়তাবাদকে মিশিয়ে দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। ‘গৈরিকীকরণে’র লক্ষ্যে অ-হিন্দু ও হিন্দু দলিতদের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলি হিংসা, হুমকি ও হেনস্থার ঘটনা ওই বছরে আরও বাড়িয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা আরও বেশি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারতের ১০টি রাজ্যে। তাদের মধ্যে রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, ওড়িশা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান।’’
আরও পড়ুন- শরণার্থী তাড়াও অভিযানে পিছু হটলেন ট্রাম্প
আরও পড়ুন- ‘পাসপোর্ট-ভিসা সমস্যার সমাধান করতে পারব না’, নতুন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের ছেলের টুইটে জল্পনা
মার্কিন বিদেশ দফতরের ‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম, ২০১৮’
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘‘বৃহত্তম গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ নিয়ে ভারত গর্বিত। একই সঙ্গে দেশের বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা ও সহিষ্ণুতার প্রতি নিষ্ঠার জন্যেও ভারত গর্বিত। সংখ্যালঘু-সহ দেশের প্রতিটি নাগরিকের সবক’টি মৌলিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করা হয়েছে ভারতের সংবিধানে।’’
রবীশ এও জানিয়েছেন, ভারতের এই সজীব গণতন্ত্রের কথা গোটা বিশ্ব জানে। জানে, ভারতের সংবিধান কী ভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে রক্ষা করে। এও জানে, ভারতের গণতান্ত্রিক সরকারগুলি আইনের শাসনের মাধ্যমে সেই অধিকারগুলিকে কী ভাবে রক্ষা করে ও সেগুলিকে উৎসাহ দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy