কৃষ্ণ কালো এই আগন্তুকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি সংখ্যা। ৫। নানা ভাবে। ছবি- সদবি-র সৌজন্যে।
এ বার নিলামে চড়তে চলেছে এক মহাজাগতিক আগন্তুক! যার আদত ঠিকানা ঘন রহস্যে মোড়া। এই সৌরমণ্ডল বা ব্রহ্মাণ্ডের ঠিক কোন মুলুক থেকে এসেছে, তার কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও রহস্যের— কৃষ্ণ কালো এই আগন্তুকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি সংখ্যা। ৫। নানা ভাবে। তার ওজনে। নিলামের প্রাথমিক দরদামে। সে ছড়িয়ে রয়েছে পাঁচটি দিকে। পাঁচটি কোণে। তার আকার হাতের তালুর একটি চিহ্নের মতো। আরবি ভাষায় যার নাম— খামসা। আরবি ভাষায় যা ৫ সংখ্যাটিকে বোঝায়।
পৃথিবীর বাইরে থেকে আসা এই আগন্তুক আদতে একটি কালো হিরে। ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ওজন যার ৫৫৫.৫৫ ক্যারাট। এই মহাজাগতিক হিরের রয়েছে ৫টি দিক (‘ফ্যাসেট্স’) বা ৫টি তল।
নিলামঘর সদবি-র দুবাই শাখা বুধবার এই মহাজাগতিক হিরের খবর দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে এর নিলাম হবে লন্ডনে।
নিলামে প্রাথমিক পর্যায়ে এর মূল্য ধরা হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড। আমেরিকার মুদ্রায় ৬৮ লক্ষ ডলার।
সংখ্যা পাঁচ আরও নানা ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই মহাজাগতিক কালো হিরের সঙ্গে।
সদবি-র দুবাই শাখার রত্ন বিশেষজ্ঞ সোফি স্টিভেন্স বুধবার বলেছেন, ‘‘যেটা খুব নজরকাড়া ঘটনা তা হল, নানা ভাবে ৫ সংখ্যাটি জড়িয়ে রয়েছে এই কালো হিরেটির সঙ্গে। এর ৫টি দিকও রয়েছে। রয়েছে ৫টি কোণ। এই হিরেটির আকার মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত হাতের তালুর একটি বিশেষ চিহ্নের মতো। আরবি ভাষায় যার নাম— ‘খামসা’। যার অর্থ, শক্তি-সামর্থ। কারও রক্ষকবচ হিসাবেও এই শব্দের ব্যবহার বহুলপ্রচলিত আরব দুনিয়ায়। আরব মুলুকে আবার এই শব্দটি ৫ সংখ্যাও বোঝায়।’’
কেন এই কালো হিরেটিকে মহাজাগতিক আগন্তুক বলে মনে করা হচ্ছে?
সদবি-র দুবাই শাখার রত্ন বিশেষজ্ঞ সোফি স্টিভেন্স বলেছেন, ‘‘এই হিরেটি যে ধরনের কার্বন যৌগ, তা পৃথিবীতে পাওয়া যায় না। এটি সম্ভবত এসেছে কোনও গ্রহাণু বা কোনও উল্কাপিণ্ড থেকে। তবে সঠিক ভাবে এর আদত ঠিকানা এখনও জানা, বোঝা সম্ভব হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy